ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মণ্ডল অন্যের পায়ে কুড়াল মারলেন। এবার সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নিজেই ফাঁস করলেন শহীদ নুর আলী কলেজের তিনজন ও এক সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকাসহ চারজনের একই সঙ্গে মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে চাকরি করার ঘটনা। এ নিয়ে কালীগঞ্জে আবার নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মজিদ মণ্ডল জানান, শিক্ষক সুব্রত কুমার নন্দি, তার স্ত্রী মিতা বিশ্বাস, ফাতেমা আক্তার ও অমিত কুমার সেন খণ্ডকালীন নয়, বরং স্থায়ীভাবেই মাহতাব উদ্দীন কলেজে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে তারা কলেজ থেকে বেতন পান না।
মজিদ মণ্ডলের ভাষ্যমতে, চার শিক্ষক নিয়মিত কলেজও করেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তিন কলেজ শিক্ষক সুব্রত কুমার নন্দি, ফাতেমা আক্তার ও অমিত কুমার সেন শহীদ নুর আলী কলেজ থেকে সরকারি বেতন নেন। তাহলে কেন তারা মাহতাব উদ্দীন কলেজে ক্লাস নেবেন। তাহলে কি তারা নুর আলী কলেজকে ফাঁকি দেন? সুব্রত নন্দির স্ত্রী মিতা বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন। তিনিও একই সময়ে কীভাবে দুই প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিচ্ছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত মজিদ মণ্ডল। কলেজ থেকে দেওয়া একটি প্রতিবাদ লিপিতেও ওই চার শিক্ষকের নাম ও স্বাক্ষর আছে। এতেই প্রমাণিত হয়, চার শিক্ষক জালিয়াতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সরকারি আইন ভঙ্গ করে যাচ্ছেন।
অবৈধভাবে অধ্যক্ষের চেয়ার দখল, জাতীয়করণ ঘোষণার আগে গোপনে শিক্ষক নিয়োগসহ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উত্থাপিত হয় । এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে নিজের চাকরি বাঁচাতে বৃহস্পতিবার এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মজিদ মণ্ডল।
তিনি দাবি করেন, মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। তিনি অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে একুশ লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য ও তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন।