দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করা হবে: প্রযুক্তি মন্ত্রী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি |

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হবে। আমরা শিশুদের প্রোগ্রামার বানানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা।

মন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি প্রধান দেশ ছিলাম। সেই কৃষি প্রধান দেশকে শিল্প বিপ্লবে রুপান্তর করতে পারিনি। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব সম্পন্ন হয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমরা আছি। যদি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ধরতে না পারি তাহলে আমাদের পক্ষে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বেলায়েত হোসেন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মের প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ.টি ইমাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি খন্দকার আব্দুল বাতেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমীন, পুলিশ সুপার মাহবুব আলম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম ফেরদৌস আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মাধ্যমিক  ও উচ্চ মাধ্যমিক পযায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি বাধ্যতামূলক হলেও শিক্ষকরা এমপিওবিহীন রয়েছেন কয়েকবছর যাবত।

শুক্রবার রাতে  নব নিযুক্ত প্রযুক্তি মন্ত্রীর বক্তব্য দৈনিকশিক্ষায় প্রকাশের পর,  শেরপুর জেলার শ্রীবরদীর ভটপুর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক কে, এম, ফারুক মন্তব্য করেছেন এমন: “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি পাঁচ বছর আগেই ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় হয়তো সেটা জানেন না। অত্যন্ত দুঃখজনক কথা হলো উল্লেখিত বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিন্তু আইনি জটিলতায় তাদের এমপিও এখনও হয়নি। এর চেয়েও বেদনাদায়ক কথা হচ্ছে এইচএসসি সমমান (আলিম) পর্যায়ের মাদ্রাসাগুলোতে ঐ বিষয়টি একইভাবে বাধ্যতামুলক হলেও উক্ত মাদ্রাসাগুলোতে এখনও সেই পদ সৃষ্টিই হয়নি, শিক্ষক নিয়োগ তো দুরের কথা। সে কারণে মাদ্রাসায় আলিম পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি পড়াবার কেউ নেই, একই কারণে শিক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষায় ঐ বিষয়ে অধিক ফেল করছে। এ দায় কার, জানতে চায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।” 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.016376972198486