লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশংসাপত্র ও নম্বরপত্র তুলতেও টাকা গুনতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা আদায় করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি এক অভিভাবক বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশংসাপত্র ও নম্বরপত্র তুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছে তাহসীন বিন আহসান নামের এক শিক্ষার্থী। সে ওই মাদরাসা থেকে এ গ্রেড পেয়ে আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য পরীক্ষার প্রশংসাপত্র ও নম্বরপত্র তুলতে গত ৪ অক্টোবর সে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের কাছে আবেদন করে। অধ্যক্ষ ওই আবেদনপত্রের ওপর মাদরাসার লাইব্রেরিয়ান সালাহ উদ্দিনকে এক হাজার টাকা নিয়ে কাগজপত্রগুলো দেওয়ার জন্য লিখে দেন। কিন্তু ২০০ টাকা দিতে চাইলেও তার কাগজপত্র দেওয়া হয়নি।
এরপর তাহসীনের বাবা নাজমুল আহসান এ বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কথা বলেন। এ সময় অধ্যক্ষ তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি বৈধ-অবৈধ জানি না। সব প্রতিষ্ঠান টাকা নেয়, তাই আমরাও নিই।
টুমচর মাদরাসা ২২০০ টাকা নেয়। এ ক্ষেত্রে আমার করার কিছুই নেই। ’
নাজমুল আহসানের অভিযোগ, ‘অধ্যক্ষের কাছে শুধু নম্বরপত্র চাইলেও তিনি দেননি। উপরন্তু তিনি অন্যান্য মাদরাসার অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এতে বাধ্য হয়েই প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। ’
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, মাদরাসার রেজিস্ট্রেশন ও অভ্যন্তরীণ খরচের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ওই টাকা নেওয়া হয়। অভিযোগকারীর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।