জঙ্গীবাদে অভিযুক্ত স্কুল থেকে ঘুষ নেয়া ও প্রশ্নফাঁসসহ বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি মো: নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অপর এক দুর্নীতিবাজ কর্মচারি সৈয়দ লিয়াকত আলী। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে এমপিও দুর্নীতির দায়ে শিক্ষা ভবন থেকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয় নাসিরকে। কিন্তু সেখানে যোগ না দিয়ে রাতারাতি একটি সমিতি বানিয়েছে নাসির ও লিয়াকত। বিনাভোটের ওই সমিতির ব্যানারে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে এই চক্রটি। অর্থায়ন করে ক্যামব্রিয়ানসহ কয়েকটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান। পকেট সমিতির সভাপতি লিয়াকত ও মহাসচিব গ্রেপ্তার নাসির।
রোববার বিকেলে নাসিরকে ফেরত চেয়ে শিক্ষা ভবনে কয়েকটি ব্যানার টাঙ্গিয়েছে লিয়াকতসহ কয়েকজন। লিয়াকতের বিরুদ্ধে এমপিও দুর্নীতি ও বাগেরহাটে মামলা রয়েছে। কয়েকবছর আগে বাগেরহাটে গ্রেপ্তার হন লিয়াকত। কিন্তু বরখাস্ত হননি।
শিক্ষা ভবনে ব্যানার টাঙ্গানোর বিষয়ে জানতে চাইলে লিয়াকত দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, আমাদের নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ। নাসিরের মুক্তির দাবিতে কয়েক লাখ লিফলেট তৈরি করে সারাদেশে বিলি করা শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।
জানতে চাইলে শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মুহম্মদ জাকির হোসেন দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, কাউকে গ্রেপ্তার করা আইন ও প্রশাসনের বিষয়। তা নিয়ে অধিদপ্তরে ব্যানার ঝুলানো বা ক্ষোভ প্রকাশ করা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে অপরাধ বটে।
এদিকে মোতালেব ও নাসিরের গ্রেপ্তারের খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ ও জামাতপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনছারও কোটিপতি বনে গেছেন অল্পদিনেই। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের জামাতপন্থী উপ-পরিচালক মো: মোস্তফা কামাল ও উচ্চমাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের উপ-পরিচালক শ ম সাইফুল ইসলামের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা সাইফুল শিক্ষা ভবনের নীচতলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়াসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, দুর্নীতিবাজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া অভিযোগ গায়েব করে দেয়ার বিনিময়ে আনছার লাখ লাখ টাকা পান। রোববার আতঙ্কিত আনছারসহ কয়েকজনকে দেখা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করছেন।
শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারী মাহবুব, ড়্রাইভার আলাউদ্দিনকেও আতিঙ্কত দেখা গেছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালকের বিরুদ্ধে রয়েছে জামাত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ।