বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স (এফটিসি) জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতেই (নায়েম) হতে হবে। কোনো অজুহাতেই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ কোর্সটি নায়েমের বাইরে টিটিসি বা এইচএসটিটিআইতে নেয়া যাবেনা।
এফটিসি কোর্স নিয়ে চলা মৃদু বিতর্কের মধ্যেই আজ বুধবার (২৮জুন) বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাত করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এফটিসি কোর্স সম্পর্কে তাঁর মনের কথা।
জবাবে মহাপরিচালক তাঁকে (সভাপতিকে) আশ্বস্ত করেছেন বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান সভাপতি। মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক শেষে দৈনিক শিক্ষাকে সভাপতি বলেন, “তরুণ কর্মকর্তাদের মনের কথা, তাদের চাওয়া, আমারও চাওয়া—এফটিসি কোর্স নায়েমের ভেতরেই হতে হবে। একথা বলার জন্যই মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি।”
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কিংবদন্তীতূল্য জনপ্রিয় এই সভাপতি বলেন, “কদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে গুঞ্জন চলছিল, এফটিসি কোর্স আঞ্চলিক অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে। যুক্তি হলো জট লেগেছে। তা ছাড়াতে হবে।”
“শুনলাম ৪ঠা জুলাই এ বিষয়ে সভা বসছে নায়েমে। তাই ছুটে গেলাম মহাপরিচালকের কাছে। মনের কথা জানিয়ে আসলাম।”
তিনি বলেন, প্রায় হাজার দুয়েক কর্মকর্তার এফটিসি কোর্স করা বাকী। যদিও প্রকৃত তথ্যটি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এখনও পাইনি। নায়েমের কাছেও সম্ভবত নেই।
২০০৫ খ্রিস্টাব্দের উদাহরণ টেনে দৈনিক শিক্ষার প্রশ্ন ছিলো এমন: “জট কমাতে দুই শিফটে ট্রেনিং করানো যায় কি-না?” জবাবে সভাপতি বলেন, হ্যাঁ যদি শিক্ষক ও থাকার জায়গার সমস্যা না হয় তবে দুই শিফটে প্রশিক্ষণ হতেই পারে। এছাড়াও ছোটখাটো কিছু কোর্স রয়েছে যেগুলো নায়েমের বাইরে টিটিসিতে বা এইচএসটিটিআইতে করানো যায়। এতে নায়েমের শিক্ষক ও ডরমিটরির সদ্ব্যবহার হবে।