কথিত মাদ্রাসা চালুর পর বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। জমির মালিকানা বিরোধে এর অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে ইতোমধ্যে। এই অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানেই গোপনে দেয়া হয়েছে সরকারি চাল বরাদ্দ! আর গোপনেই তা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন প্রকল্পের সাথে জড়িত কথিত সভাপতি। ঘটনাটি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আশুজিয়া জেএনসি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন জামিয়া হাফিজিয়া বহুমুখী নামে ২০০১ সালে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে মাদ্রাসাটি নির্মান করা হয়।জমিদাতা সে জমি ফিরিয়ে নিলে বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম। এবং
ভেঙে ফেলা হয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো। সেই নিশ্চিহ্ণ হয়ে যাওয়া মাদ্রাসার নামে আশুজিয়া সিংহের গাও গ্রামের ফুলমিয়া (৩২) জিআর প্রকল্পের ২টন চাল উত্তোলন করেন এবং এর পুরোটাই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহযোগীতায় তিনি আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এই সব লোকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিতেই হবে।’
স্থানীয় মসজিদের কোষাধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন ছোটন জানান, ‘লিল্লাহ বোর্ডিং এর জন্য ২ টন সরকারি চাল এসেছিল মাদ্রাসায়, কিন্তু এখানে লিল্লাহ বোর্ডিংই নেই।’
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
যার বিরুদ্ধে অভিয়োগ সেই ফুল মিয়ার বক্তব্য জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের কোন অভিযোগ এখনো থানায় আসেনি।’