হাইকোর্টের আদেশে ভিকারুননিসার তিন ছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষার বাংলা খাতা আবার দেখা হলো। প্রচলিত বিধান অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষা হয়। মানে, প্রথমবার পরীক্ষক কর্তৃক খাতায় দেয়া প্রশ্নভিত্তিক নম্বরগুলো ফের গুনে দেখা হয়। আপত্তি দেয়া খাতা তৃতীয় পরীক্ষক দ্বারা ফের মূল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু আদালতের আদেশে ভিকারুনিসার এই তিন ছাত্রীর খাতা তৃতীয় পরীক্ষক দ্বারা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য হয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী শনিবার (৩রা জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভিকারুন নিসার ইংরেজি ভার্সনের সহকারি প্রধান শিক্ষক নাজমুস নাহার। তিন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই তৃতীয় পরীক্ষক দ্বারা খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। ওই তিন পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর যথাক্রমে ১০২২৬৬, ১০২১৫২, ১০১৭২৯। তবে, ফলাফল যা ছিলো তা-ই রয়েছে। মানে, কথিত গোল্ডেন জিপিএ-৫ চেয়েছিলো তারা কিন্তু হয়নি। তাদের তিনজনেরই পিতাগণ সরকারি চাকুরে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রীদের তিন জনই ভিকারুননিসা নুন স্কুলের ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষার্থী।
৪ঠা মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। প্রকাশিত ফলাফলে তাদের বাংলা বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
শুনানী শেষে ২৯শে মে খাতা পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসাইন ও বিচাপতি মো. আতাউর রহমান খান।