নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি না দেওয়ার অজুহাতে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার পূর্বে অনুষ্ঠিত মডেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৬হাজার ৪শ ৯৪জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করবে। উপজেলার ২৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের মাঝে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সমাপ্ত করতে চূড়ান্ত পরীক্ষার কিছুদিন পূর্বে মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে বেশি মনোযোগি হয় যার ইতিবাচ প্রভাব চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলেও দেখা যায়।
কিন্তু এ বছর পূর্বধলায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফি দিতে চায়না এই অযুহাতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছেনা বলে জানা গেছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বছরের সমাপনী পরীক্ষার্থী রাকীব খান, সুষ্মিতা সরকার, সুমাইয়া আক্তার জানায় মডেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আমরা নিয়মিত চূড়ান্ত প্রস্তুতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
উপজেলার কয়েকজন অভিভাবকের সাথে আলাপ করলে তারা জানায়, দু একটি প্রতিষ্ঠানে কতিপয় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি কম দেয়ার বিষয়টিকে পুজি করে কর্তৃপক্ষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আসলে সুবিধাভোগী শিক্ষকদের একটি অংশ পরীক্ষা নেওয়া, খাতা মূল্যায়নকে ঝামেলা মনে করে তারা পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে চায়।
তারা আরও জানায়, পাশ্ববর্তী ধোবাউড়া, দুর্গাপুর, গৌরীপুর, নেত্রকোনা সদর উপজেলায় যথারিতী আগামী ১৪ অক্টোবরের পর থেকে মডেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, পরীক্ষা না নেওয়ার কারনে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিছুটা ঘাটতি দেখা দিবে যার প্রভাব চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলেও পরবে।
এ ব্যপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা জানান, শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফি দিতে চায়না। তাই শিক্ষকদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ বছর মডেল টেস্ট পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মডেল টেষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পায়, ফলাফলও ভাল হয়। তবে মডেল টেষ্ট পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলেও তিনি জানান।