শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন ¯তরের প্রতিবন্ধীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য শতকরা ৫ ভাগ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা জাতির নৈতিক দায়িত্ব।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দিনব্যাপী ’ডিজএবিলিটি ইনক্লুসন ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলােেদশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। কানাডা সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ স্কিলস ফর প্রোডাকটিভিটি (বি-সেপ) প্রকল্পের সহায়তায় সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে এবং প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করতে হবে। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কল্যানমুখী কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। তাদের জন্য শতকরা ৫ ভাগ কোটা সংরক্ষিত। প্রতিবন্ধীদের বোঝা না ভেবে মানব সম্পদে পরিনত করতে হবে। শিক্ষা লাভ এবং কাজ করার অধিকার তাদের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভূক্ত।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বর্তমানে শতকরা ১৪ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়ালেখা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে তা শতকরা ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, দুনিয়া উন্মুক্ত। দক্ষতা দিতে পারলে সব জায়গায় কাজ করার সুযোগ পাবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এর উপরই আমাদের অগ্রগতি নির্ভর করছে।
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস এবং আইএলও’র চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার কিশোর কুমার সিং বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অন্তর্ভূক্তকরণে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি নির্দেশিকার (গাইড) মোড়ক উন্মোচন করেন।