বেশ কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকের পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে না। এর মধ্যে এই পদটি সরকারি কর্ম কমিশনের আওতায় চলে যায়। এর মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে শূন্য পদে জনবল নিয়োগ চেয়ে কর্ম কমিশনকে অবহিত করা হয়। অন্যদিকে কর্ম কমিশন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডার হিসাবে এই পদে নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে নিয়োগপ্রাপ্তরা অধিকাংশই এই পদে যোগদান করছেন না।
অথচ শর্ত মোতাবেক ৫০% কোটা বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা, বাকিটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হবে। এখন পর্যন্ত এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। এদিকে যারা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি তারা আশায় ছিল এই পদে আবেদন করার সুযোগ পাবে, আবার যারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তারাও অপেক্ষায় আছে কবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। আশায় আশায় শিক্ষিত বেকারদের অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে আবার অনেকেই পার হবার পথে।
ত্রিশোর্ধ্ব বেকারদের জন্য এই একটি পদই বাকি ছিল আবেদন করার। চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য বহু আবেদন-নিবেদন করা হলেও সে ব্যাপারে কোনো ঘোষণা না আসায় বেকাররা হতাশ। তাই কর্ম কমিশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি— বিসিএস থেকে ৫০% নিয়োগ দেওয়ার পর বাকি ৫০% অবিলম্বে সর্বসাধারণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করুন। ইতিমধ্যে চার হাজারেরও বেশি পদে মন্ত্রণালয় চাহিদাপত্র দিয়েছে। আশা করি ত্রিশোর্ধ্ব বেকারদের একটি সুযোগ কাজে লাগাতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
কামাল হোসাইন
জগন্নাথদী, ব্যাসদী গাজনা, মধুখালী, ফরিদপুর