প্রশ্নপত্রে ভুল: শিক্ষা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি |

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের ইংরেজি ভার্সনে অসংখ্য ভুলের জন্য দায়ী কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম আবদুল মান্নান। তিনি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বলেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নগুলো করে থাকে ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি। সেখানে নির্ধারিত প্যানেলের মাধ্যম প্রশ্নপত্রগুলো প্রণয়ন করা হয়। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের ইংরেজি ভার্সনের প্রশ্নপত্রে ব্যাপক ভুল ছিল। সেখানে বাক্য গঠন থেকে শুরু করে শব্দেও অনেক ভুল ছিল। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সিলেট ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের প্রশ্নপত্রে ঘটনাটি ঘটে। এই অংশের অনুবাদের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল মান্নান।

এত দিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ছিল। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে ভুলভ্রান্তি যোগ হয়েছে।

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষার প্রথম প্রশ্নটি বাংলায় ছিল ‘মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে নিচের কোন সমস্যাটি হতো। ইংরেজি ভার্সনে এর অনুবাদ করে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘What would happen if no the Mujibnagar govt. was formed’। একটি প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের ইংরেজি করা হয়েছে ‘ফ্রিডম ফাইট’। আরও বেশ কিছু বাক্যে ও শব্দে ভুল ছিল।

বহুনির্বাচনীটির উত্তরেও বাক্যের ব্যাকরণেও ভুল পাওয়া যায়, d উত্তরে বলা হয়েছে- It wouldn’t be possible to train of freedom fighter, এখানে of এর স্থলে to হবে।

২ নং প্রশ্নে বলা হয়েছে– ‘Why Bangladesh to import a lot of vegetable oil?’, এই প্রশ্নটিতে ‘to’ বসার কথা নয়। এর ‘b’ নং উত্তরেও ভুল বাক্য রয়েছে। বলা হয়েছ, ‘Because, Production is low than demand.’, সঠিক বাক্যটি হবে– ‘Because, Production is lower than demand.’।

৩ নং প্রশ্নে বলা হয়েছে– ‘Why was built 177 secret room at Sompur Bihar in Paharpur?’ এই পুরো বাক্যটিই ভুল।

৪ নং প্রশ্নে বলা হয়েছে- ‘What is happened in the people of this country as a result of ‘divide and rule’ policy of British? বাক্যটিতে what এরপর is হবে না এবং in এর স্থলে to হবে।

৫ নং প্রশ্নের ‘c’ অপশনে লেখা হয়েছে ‘Men became torture’ । এখানে বাক্যই ভুল।

৮ নং প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘Why did the floting people of city pass their life in humanly?’ এই প্রশ্নের বাক্যে ব্যাকরণগত ও বিশেষণে ভুল ।

১০ নং প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘What is the major cause of Bangladesh facing natural climates?’ ; এখানে climate ভুলভাবে ব্যবহার হয়েছে।

এরকম অন্তত ৪০টি ই ভুল পাওয়া যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের 2 (c) তে লেখা রয়েছে ‘Why did the intellectuals kill?’ প্রশ্নের ব্যাকরণে ভুল থাকার পাশাপাশি বাক্যের ভাবও বোঝা যাচ্ছে না। ভুল রয়েছে 2(c), 2(h), 2(i), 2(m), 2(0), 3 (d), 3 (f) ও 3 (h) নং প্রশ্নে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028150081634521