প্রাথমিক শিক্ষার অনুদান যাচ্ছে রোহিঙ্গা খাতে

হামিদ-উজ-জামান |

প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য দাতা সংস্থার দেয়া ৯০ লাখ মার্কিন ডলার অব্যবহৃত আছে। নিয়ম অনুযায়ী এ অর্থ ফেরত যাবে দাতা সংস্থার কাছে। কিন্তু তা ফেরত না নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করতে চায় দাতা সংস্থা গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)। বিষয়টি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে চিঠি দিয়েছে তারা। কিন্তু এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় সরকার।

সূত্র জানিয়েছে, দাতা সংস্থার চিঠির বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে ২৯ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মতামত পওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছি। কিন্তু এখনও তা পাইনি। তারা কিছুটা সময় নিচ্ছে। হিসাব-নিকাশের বিষয় রয়েছে। তিনি বলেন, কর্মসূচিটি চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার কথা আছে। আদৌ ৯০ লাখ ডলার অব্যবহৃত থাকবে কিনা, সেটিও নিশ্চিত হওয়া দরকার। যদি প্রকৃত অর্থেই অনুদানের এ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব না হয়, তাহলে অনুদান প্রদানকারী সংস্থাকে ফিরিয়ে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। তারা চাইলে যে কোনো খাতেই খরচ করতে পারে।

সূত্র জানায়, ইআরডি থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ (পিইডিপি-৩) বাস্তবায়নে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) অনুদান দিয়েছে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এ অনুদান থেকে ন্যূনতম অব্যয়িত ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৭২ কোটি টাকা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু ও ভুক্তভোগীদের শিক্ষার কাজে ব্যয় করতে জিপিই সচিবালয় আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতামত জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও জবাব দেয়নি মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক মোস্তফা কে. মুজেরি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত ভালো করে হিসাব করে দেখা। এক্ষেত্রে যদি ৯ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা সম্ভব না হয়, তাহলে সেটি রোহিঙ্গা খাতে ব্যয় করতে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। আর যদি খরচ হয়ে যায়, তাহলে তো আর কিছু করার নেই। তবে জিপিই’র সঙ্গে চুক্তিতে কী উল্লেখ আছে, সেটি বড় কথা। যদি দেখা যায়, প্রকল্প শেষে অব্যবহৃত টাকা অন্য খাতে স্থানান্তর করার সুযোগ থাকে, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হবে একরকম আর যদি সেটি উল্লেখ না থাকে, তার হিসাব হবে আরেক রকম। সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কেই। উন্নয়ন সহযোগীদের উচিত আলাদাভাবে অনুদান দিয়ে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসা।

 

সূত্র: যুগান্তর


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003882884979248