প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রসারিত করার বাস্তবতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সুপারিশ দেয়ার জন্য ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিবকে সভাপতি করে, ৩জন অতিরিক্ত সচিব, ২জন যুগ্ম সচিব, ৪টি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এনসিটিবি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং একজন উপসচিবের সমন্বয়ে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।
৬ই জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়, “১৬ই মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।
সাধারণত যে কোনও কমিটি করা হলে তাকে সুপারিশ/মতামত দেয়ার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু ১৩ সদস্যের এই কমিটিকে কোনো সময় বেঁধে দেয়া হয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাইলটিং হিসেবে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ৫০৩টি এবং ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ১২৪টি, মোট ৬২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়। ওইসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। এর মধ্যে গত বছর ৩৮টি বিদ্যালয়ে জেএসসিতে পাসের হার ৫০ শতাংশের কম ছিল। গত বছর প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে গড় পাস করে ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকি স্কুলগুলোর রিপোর্ট সংগ্রহ করছে কমিটি। সেই স্কুলগুলোর ফল ৬০ শতাংশের নিচে। এসব স্কুলে ফল খারাপ হওয়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষাবিদ্ ও শিক্ষা বিশ্লেষক বলেছেন, পঞ্চম শ্রেণির স্কুল অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতকরণ একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। পুরো বিষয়টা দেখভাল করার মতো যোগ্য কোনও আমলা নেই। তাছাড়া কেউ কেউ হয়তো চান না, এত এত স্কুল তাদের মন্ত্রণালয়ের হাতছাড়া হোক।