প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা শিক্ষিকা নিকি ফিরে যাচ্ছেন

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি |

নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন পটুয়াখালীর বাউফলের কলেজ ছাত্রের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসা স্কুল শিক্ষিকা নিকি উল ফিয়ার। বিমানের টিকেট পেতে ইতিমধ্যে তিনি কথা বলেছেন ট্র্যাভেল এজেন্সির সঙ্গে।

ইন্দোনেশিয়ান শিক্ষক নিকি ইল ফিয়ারের প্রেমিক কলেজ ছাত্র ইমরানের বয়স ২১ বছর না হওয়ায় আইনী জটিলতার কারণে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে আইননানুগ ইমরানের বিয়ের বয়স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের দাসপাড়া গ্রামের পূরান বাবুর্চি বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে বছরখানেক আগে ফেসবুকে পরিচয় ঘটে ইন্দোনেশিয়ার এক মুসলিম পরিবারের মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা নিকি উল ফিয়ারের। তার বাবার নাম মি. ইউ লি আন থো। ওখানে সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামে তার বাড়ি। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার চাকুরি নেন নিকি উল।

ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে নিকি উল ফিয়ার গত ১লা ডিসেম্বর তার প্রেমিকার উদ্দেশে ঢাকা বিমান বন্দরে ছুটে আসেন। সেখান থেকে ৩ ডিসেম্বর তিনি আসেন প্রেমিক ইমরানের দাশপাড়া গ্রামের বাড়িতে। এরপর থেকেই নিকিউল ফিয়ার ও ইমরানকে নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অলোচনার সৃষ্টি হয়।

আইনানুগ ইমরানের বিয়ের বয়স ২১ বছর না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন নিকি উল। নিকি উল বলেন, বাংলাদেশি আইন অনুযায়ী ওর বিয়ের বয়স হয়নি জেনে আমি ব্যথিত হয়েছি। দুই একদিনের মধ্যে আমার দেশে চলে যাবো। বিমানের টিকেটের জন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেছি। ইমরান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। আমি ইমরানের বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা
করবো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027890205383301