বেঙ্গালুরুর কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর এক বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন পিএইচডি’র চার ছাত্রী।
সিটি পুলিশ কমিশনার টি সুমীল কুমারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে একটি ই-মেলও করেন ছাত্রীরা। সেই মেলটি মরাঠাথাল্লি থানায় অগ্রায়ন করে দেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ধারায় একটি মামলা রুজু হয় ওই বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে। তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ তে। অভিযোগ পত্রে ছাত্রীরা জানিয়েছেন, ওই বিজ্ঞানী তাঁদের আলাদা আলাদা ভাবে নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে আসতেন। অদ্ভুত ভাবে তাঁদের শরীরের দিকে তাকাতেন। এমনকি তাঁদের অশালীন ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করতেন। আরও অভিযোগ, বিজ্ঞানীর এমন আচরণের প্রতিবাদ করায় তাঁদের পরীক্ষার রেজাল্টও আটকে দেন তিনি।
ছাত্রীরা জানান, পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে যখন কোনও লাভ হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি লেখেন তাঁরা। এমনকি এক প্রাক্তন আমলার সহযোগিতায় ‘কমিটি অন প্রিভেনশন অব অ্যাট্রোসিটিজ অ্যান্ড সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স এগেনস্ট উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন’-এর চেয়ারম্যান বিএস উগ্রাপ্পার দ্বারস্থ হন। এর পরেও যখন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ওই বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে তখন তাঁরা সিটি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
ডিসিপি (হোয়াইটিফিল্ড) আবদুল আহাদ জানান, ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে ইনস্টিটিউটে একটি তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি তদন্ত করে ইনস্টিটিউটের প্রধানকে যে রিপোর্ট দেয় তাতে দাবি করা হয় এমন কোনও যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রীদের আর্জিতে তার পরেও আরও একটি তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্টও বিজ্ঞানীর পক্ষে যায়। ছাত্রীরা দাবি করেন, কমিটির রিপোর্ট নিয়ে তাঁদের সন্দেহ আছে।
ডিসিপি আহাদ বলেন, “মরাঠাথাল্লি পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। বিজ্ঞানী তদন্তে সহযোগিতা করছেন পুলিশকে।”
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।