প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেছেন, প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণামূলক কাজ বাড়ানো উচিত। কারণ শুধু বইপড়া জ্ঞান বাস্তব কাজে লাগাতে না পারলে সেটি মূল্যহীন। একইসঙ্গে গবেষণা কাজের ফলাফল বাজারে ছাড়তে হবে, এতে গবেষণাকাজের খরচটাও উঠে আসবে।
বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘গ্রিন ইনভেস্টমেন্টের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিন দিনব্যাপী ‘১৮তম নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপো ২০১৮’র কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
দেশে মানসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি উল্লেখ করে ড. মশিউর বলেন, বর্তমানে সরকার বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, সোলার এনার্জি পরিবেশের ক্ষতি করে না। তবে এসব প্রযুক্তি স্থাপনের সময় ত্রুটিগত কারণে কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। সেসব বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আইডিসিওএল নির্বাহী পরিচালক ও সিইও মাহমুদ মালিক, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) নির্বাহী পরিচালক ও সিইও এসএম ফরমানুল ইসলাম, বিএসআরইএ প্রেসিডেন্ট দিপাল চন্দ্র বড়ুয়া ও মাকস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেসার এম খান।
এসএম ফরমানুল ইসলাম বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এখন শখিনতার চাইতে অনেক বেশি প্রয়োজনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ খাতে অর্থায়নের সমস্যাগুলো মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
দিপাল চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, বিদ্যুৎ থাকবে, কিন্তু সেটিকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমরা ব্যবহার করব। এভাবে ৩০ শতাংশ পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করা সম্ভব। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অর্থের যোগানও প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ সৌরশক্তি সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই জাতীয় সেমিনার ও নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তির সরঞ্জমাদির প্রদর্শনী হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত। সেমিনারের প্রধান বিবেচ্য বিষয় টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা।