যারা জাতির মেরুদণ্ড তৈরি করবে আজ সেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভঙ্গুর। বেসরকারির ‘বে’ অক্ষরটি জগদ্দল পাথর হয়ে তাদের বুকে বসে আছে। শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে জাতীয়করণ করার বিকল্প নেই। জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষার্থীরা স্বল্প বেতনে পড়ার সুযোগ পাবে। গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ হবে। মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় উৎসাহিত হবে। আর্থিক দৈন্যের কারণে যারা শিক্ষাবিমুখ, তারা স্কুলমুখী হবে। শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ এবং শিক্ষাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত হবে।
প্রতিষ্ঠানের উপার্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে—যা আগে জমা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহারে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং অপচয় রোধ হবে। এসএসসি নিয়ে স্থানীয় সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, কোন্দল, হানাহানি তুলনামূলক হ্রাস পাবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও কোচিং বাণিজ্যের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। এতে শিক্ষায় স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকবে। তাই জাতির স্বার্থে অতি দ্রুত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে।
মাওলানা কাজী ছিদ্দিকুর রহমান
চান্দিনা, কুমিল্লা।