নতুন অধ্যক্ষকে বরণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা । এতে আহত হয়েছেন ৭ শিক্ষার্থী। তারা হচ্ছে ২য় বর্ষের ছাত্রী তৌহিদা, আয়েশা, ৩য় বর্ষের ছাত্রী হালিমা, মিতা, ঝর্না, মাহমুদা ও আকলিমা।
শনিবার সকালে অধ্যক্ষ পদে যোগ দিতে ইনস্টিটিউটে আসেন সালাউদ্দিন মাতবর। তাকে বরণ করতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নেতা ডা. আবু সাঈদ ও কুমিল্লায় কর্মরত ডাক্তার হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অধ্যক্ষের যোগদানে বাধা দেন এবং এক পর্যায়ে তাদের অনুসারীদের দিয়ে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করান। এতে ওই ৭ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে নতুন অধ্যক্ষসহ শিক্ষার্থীরা থানায় যান অভিযোগ দিতে। তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও দেখা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ওই নেতা ও ডাক্তার হারুনের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে নার্সিং ইনস্টিটিউট ও জেলা সদর হাসপাতালে কর্তৃত্ব করছেন নাসিং ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত ইন্সট্রাকটর ফেরদৌসি বেগম। ফেরদৌসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকার পরও তাকে পুর্নাঙ্গ দায়িত্ব দেয়ার তদবির করেন এ দুজন। সেখানে অন্য আরেকজনকে পোস্টিং দেয়ায় শনিবার এ ঘটনা ঘটানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নতুন অধ্যক্ষ এলে তাকে যোগদানে বাধা দেন ডা. আবু সাঈদ ও হারুন। তাকে ইনস্টিটিউট এলাকা ত্যাগে বাধ্য করা হয়। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ইনস্ট্রাক্টর ফেরদৌসি বেগম, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসি বেগম, হাসপাতাল কর্মচারী নাজিম, তনয়সহ আরো কয়েকজন। এ খবরে বরণে প্রস্তুত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা মিছিল বের করে এর প্রতিবাদ জানায়। ডা. আবু সাঈদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন। সেসময় তাদের ওপর হামলা চালায় সাঈদ ও হারুনের অনুসারী নার্সিং ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্মচারীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ জানান, ছাত্রী হামলার অভিযোগ তারা পেয়েছেন।