ভয়াবহ এমপিও দুর্নীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল স্কুলের শিক্ষক বিমল চন্দ্র মারা যান তিন বছর আগে। কিন্তু তার নামে এখনও এমপিও পাঠানো হচ্ছে। বিমলের মারা যাওয়ার খবর লিখিতভাবে জানানো হয়েছে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে। মৃত্যুজনিত কারণে শূন্যপদে নতুন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো: হারুনুর রশীদ। তিনিও এমপিও ভুক্ত হয়েছেন দুই বছরের বেশি।

একই স্কুলের সাইদুজ্জামান চাকরি না ছেড়ে তিন বছর আগে আমেরিকা পাড়ি জমান। শিক্ষাবোর্ডের আরবিট্রেশনের মাধ্যমে তার চাকরিচ্যুতি নিশ্চিত হয়। এমপিওশীট থেকে নাম কর্তন করার চিঠি পাঠানো হয়েছে বহু আগেই। তবুও তার নামে এমপিও যাচ্ছে। গত ২৪শে জুলাই ছুটি নিয়ে সৌদি আরব  গেছেন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: মোস্তফা কামাল। ফিরবেন ৭ সেপ্টেম্বর। তবুও তিনি ১লা আগস্ট সবাক্ষর করেছেন জুলাই মাসের এমপিওশীটে! দৈনিকশিক্ষার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব ভয়াবহ এমপিও দুর্নীতির চিত্র।

আবার কলেজিয়েট মডেলসহ ধনবাড়ীর আরও অন্তত ছয়টি স্কুলে মে মাসের বেতন-ভাতা পাঠানো হয়েছে। জুলাই মাসের বেতন-ভাতা না দিয়ে পাঠানো হয়েছে মে মাসেরটা। আর এসব অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারের টাকা লুটেপুটে খাওয়ার সঙ্গে যুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক, একজন উপ-পরিচালক ও ইএমআএস সেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশ।

কলেজিয়েট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম মাসুদ কবীর শনিবার (১২ আগস্ট) দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান, “আজ আগস্টের ১২ তারিখ পাওয়া গেলো মে মাসের এমপিওরশীট। সহকারি গ্রন্থাগারিক নিলুফার ইয়ামীনের জুলাই মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। আবার আমার স্কুলের অপর শিক্ষক শফিক উল্লাহর বিএড স্কেল পাওয়ার পর কোড পরিবর্তন হয়েছে। অথচ এমপিওশীটে লেখা মে/২০১৭। কাল ১৩ আগস্ট শেষ দিন। কী করি ভেবে পাই না।”

তিনি বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের ছয় শতাংশ টাকা কর্তনের পর তিন লাখ ৭১ হাজার ৫৫৩ টাকা এসেছে। মোট ১৯ জনের বিল এসেছে কিন্তু আসার কথা ১৮ জনের। মৃত ও আমেরিকায় পাড়ি জমানো দুইজনের এমপিও বাতিলের জন্য চিঠি দিয়েছি।

জানতে চাইলে একই উপজেলার সাকিনা মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান খান দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জুলাই মাসের এমপিওর টাকা আসার কথা। অথচ আগস্টে তাদের স্কুলে বিল এসেছে মে মাসের এমপিওর।

নরিল্লা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার স্কুলের সহকারি শিক্ষকের এমপিওর কাগজ আসেনি। আদৌ আসবে কিনা এ নিয়ে নিজের আশংকার কথাও জানালেন এই শিক্ষক।

একই অবস্থা হাজরাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের। এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম (রিপন)জানান, তার প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারিকের এমপিওর কোনো খবর হয়নি এ মাসে।

পাইশকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জেল হোসেন তালুকদারও জুলাই মাসের এমপিওর পরিবর্তে মে মাসের এমপিওর বিল পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050721168518066