প্রতিটি পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। আতঙ্কে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোও।
ভয়ানক ব্যাধি প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা তদারকি করেও ব্যর্থ হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে। এটা যত বড় সমস্যা সেই মাত্রায় গুরুত্ব পাচ্ছে না। যার কারণে সব ঢিমেতালে এগোচ্ছে। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য কিছু শিক্ষককে দায়ী করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিশুদের পরীক্ষা নিয়েও এখন একটি মহল ভুয়া প্রশ্ন ছেড়ে দিয়ে বাণিজ্য করে।
তার পরও বিভিন্ন সময় কিছু পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় মানুষ আস্থা হারিয়েছে। এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে আস্থা হারিয়েছে বলে সব পরীক্ষা নিয়েই গুজবে কান দেওয়া ঠিক নয়। আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুরো প্রক্রিয়াকে মানুষের কাছে আরো স্বচ্ছ করতে হবে। একটি জাতীয় কমিটি করা যেতে পারে। যে কমিটি করলে মানুষের আস্থা বাড়বে। তবে এই কমিটি কোনো প্রশ্ন দেখতে পারবে না। তারা পরীক্ষা মনিটরিং করবে। অপরাধীরা ধরা পড়ছে, এটা ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি সত্যিই প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে চায় তবে সেটি সম্ভব। এ ক্ষেত্রে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার বিকল্প নেই।
এ কে এম আলমগীর
ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকা, চট্টগ্রাম।