শরীয়তপুর সদর উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্র ওসমান মাদবর (১৩) খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ওসমানের বাবা ইদ্রিস মাদবর বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে সোমবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার দাদপুর পশ্চিম ভাষান চর নতুন হাট সংলগ্ন আখ ক্ষেত থেকে গলাকাটা ও এক চোখ উপড়ানো ওসমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসমান সদর উপজেলার দাদপুর উত্তর ভাষান চর গ্রামের ইদ্রিস মাদবরের ছেলে। সে দাদপুর পশ্চিম ভাষান চর গ্রামের নেমানিয়া হাফেজি ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
ওসমানের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে এবং রাতের খাবার সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসা যায় ওসমান। খাবারের টিফিনবাটি মাদ্রাসায় রেখে আসরের নামাজ পড়ে বিকেলে মাদ্রাসা সংলগ্ন নতুন বাজার হাটে ঘুরতে যায় সে। বাজারে যাওয়ার পর বৃষ্টি বেড়ে গেলে বাজারেই আটকা পড়ে সে। এরপর ওসমান আর মাদ্রাসায় ফিরে না আসায় মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। এরপর থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
পরের দিন সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে নতুন বাজার হাট সংলগ্ন একটি আখ ক্ষেতে স্থানীয়রা ওসমানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসমানের বাবা ইদ্রিস মাদবর বলেন, আমার ছেলে খুব সহজ সরল নিরীহ প্রকৃতির ছিল। ইতোমধ্যে সে প্রায় অর্ধেক কোরআন শরীফ মুখস্ত করে ফেলেছে। এলাকায় আমার কোন শত্রু নাই। যারা আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। আশা করি পুলিশ খুনিদের খুঁজে বের করবে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে পশ্চিম ভাষান চর নতুন হাট সংলগ্ন আখ ক্ষেত থেকে গলাকাটা ও এক চোখ উপড়ানো অবস্থায় মাদ্রাসাছাত্র ওসমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা ইদ্রিস মাদবর বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্ত চলছে।