লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কচুয়া আহম্মদীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক কর্তৃক অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময়ে অধ্যক্ষের অফিসকক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার পর আহত অধ্যক্ষ মো. আজাদ হোসেন ভূঁইয়াকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের নির্দেশ দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের জামা ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। এতে অধ্যক্ষ অফিসকক্ষে লুটে পড়লে ইসমাইল হোসেন তাকে কিলঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ বর্জন করেন এবং ইসমাইল হোসেনের বিচার দাবি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যক্ষ আজাদ হোসেন ভূঁইয়া জানান, ইসমাইল হোসেন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনায় পূর্ব মুহূর্তে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কামরুল হাসান রাসেল তার (অধ্যক্ষ) কাছ থেকে জোরপূর্বক হাজিরা খাতা ছিনিয়ে নিয়ে মঙ্গলবার অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ইসমাইল হোসেন ও রাসেল জানান, নানা অনিয়মের কারণে অধ্যক্ষকে একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে। মাদ্রাসার নূরানী বিভাগ চালু নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বাগ্বিত-ার সৃষ্টি হয়।
মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকম রুহুল আমিন জানান, সৃষ্ট ঘটনা দ্রুত সমাধান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, অধ্যক্ষের ওপর হামলা ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।