পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আক্কেলপুর নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসা মানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রুহুল আমিন হাওলাদারসহ চার আসামীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেনআদালত। গতকাল রোববার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মো.মনিরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ প্রদান করেণ। মামলার অণ্য আসামীরা হলো মো. মিরাজ হাওলাদার, মো. সোহাগ ও মো. কেনান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামের নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ক্লাশ না হওয়ায় সদস্য নূরসাঈদ মৃধা ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষকদের ক্লাশ করার কথা বলেন।
অপরদিকে ওই মাদ্রাসার সভাপতি মো. রুহুল আমিন হাওলাদার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ক্লাশ করার কথা বলেন। এ নিয়ে সভাপতি রুহুল আমিন হাওলাদারের সাথে সদস্য নূরসাঈদ মৃধার সাথে বিরোধ চলে আসছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গত ২২ জানুয়ারী নূরসাঈদ মৃধা সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ক্লাশ করার জন্য এলাকায় লিফলেট বিতরন করেণ। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩ জানুয়ারী সকাল ১০ টার দিকে হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ছেলে সহ তার ক্যাডাররা নূরসাঈদকে দু’হাত এবং দু’পা এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জণ্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ঘটনায় মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলহাজতে
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি |