ঘুষ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোপন নথি বিক্রি করে দেওয়ার সময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন, উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন এবং লেকহেড গ্রামার স্কুলের অন্যতম মালিক খালেদ হাসান মতিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
অপরদিকে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে হস্তান্তর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩শে জানুয়ারি) তাদের তিনজনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিদের আইনজীবীরা তাদের জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগরন হাকিম জিয়াউল ইসলাম জামিন নাকচ করে তিন আসামির সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে হস্তান্তর করেন আদালত।
তিনজনের মধ্যে মোতালেব ও মতিনকে গত শনিবার (২০শে জানুয়ারি) এবং নাসির গত বৃহস্পতিবার (১৮ই জানুয়ারি) থেকে নিখোঁজ জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছিল। পরে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে রোববার (২১শে জানুয়ারি) বলা হয়, তিনজনই তাদের হেফাজতে আছে। গ্রেপ্তারের সময় নাসিরের কাছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সোমবার (২২শে জানুয়ারি) রাতে ঢাকার বনানী থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ডিবির এসআই মনিরুল ইসলাম মৃধা। জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ লেকহেড স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য মতিনের কাছ থেকে মোতালেব ও নাসির ঘুষ নিয়েছিলেন বলে সেখানে অভিযোগ করা হয়।
লেকহেড স্কুলের গুলশান শাখা লেকহেড স্কুলের গুলশান শাখা জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি বলেন, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬২ ও ১৬৫ ধারায় দায়ের করা এ মামলা জামিনযোগ্য।
তিনি যুক্তি দেন, বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড গ্রামার স্কুল খোলার জন্য আসামিরা ঘুষ লেনদেন করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হেয়েছে এ মামলায়। কিন্তু তার আগেই হাই কোর্ট ওই স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সুতরাং তাদের জামিন দেওয়া যায়।