হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় পুটিজুড়ী ইউনিয়নের দিগাম্বর ছিদ্দিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন নির্যাতিত এক ছাত্রীর বাবা।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ওয়াহিদুর রহমান। তিনি মাদরাসার ইবতেদায়ি শাখার প্রধান শিক্ষক। তিনি জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষের পেছনে নিয়ে যেতে বাধ্য করতেন। তিনি সেখানে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী ও তার সহপাঠী মেয়েরা প্রতিবাদ করলে শিক্ষক ওয়াহিদুর পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে চুপ থাকার জন্য বাধ্য করেন। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে গত ২১ নভেম্বর দুই শিক্ষার্থী মাদরাসার সুপার ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে।
পরে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার রাজা মিয়া ও তছকির মিয়া তালুকদারের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাঁরা এর সত্যতা পান। পরে শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমানকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আইয়ুব আল-আনছারী জানান, দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ সত্যতা পাওয়ায় মামলা হয়েছে। বিচারক এফআইআর ভুক্ত করে পিবিআইকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।