মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলাভাষা শেখানো যাবে না। মিয়ানমারের ভাষায়ই তাদেরকে শিক্ষাদান করতে হবে। তবে, দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানো যেতে পারে। ২৩ নভেম্বর জারি করা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশি-বিদেশি কয়েকটি এনজিও ভিন্ন উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলা শেখাচ্ছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে আগত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ও আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমার শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক বাংলাভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের সকল শিক্ষা কার্যাক্রম মিয়ানমারের ভাষায় পরিচালনা করতে হবে।’
‘তবে, দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি হতে পারে। কোনো অবস্থায়ই তাদেরকে বাংলা ভাষায় শিক্ষাদান করা যাবে না,’ আদেশে উল্লেখ করা হয়।
সম্প্রতি মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিযেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। মিয়ানমারের সরকারি আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গা শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ কম। কিন্তু প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ এসব শিশুদের শিক্ষাদানের উদ্যোগ নিয়েছে। মিয়ানমারে থাকাকালে এসব শিশুদের শিক্ষাদানের বিষয়ে কোনো টু-শব্দ করেনি বিশ্বব্যাপী শিশুদের কল্যাণে কাজ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিসেফ।