লালমনিরহাটে উপবৃত্তির টাকা পায়নি ৯৯ শিক্ষার্থী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি |

সরকারি উপবৃত্তির চার কিস্তির টাকা পেলেও পরের দুই কিস্তির টাকা পাননি লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট কলেজ, ডাচবাংলা ব্যাংক ও শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করেও কোনও সমাধান পাননি তারা। এই শিক্ষার্থীরা মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজে লেখাপড়া করছেন।

লালমনিরহাট ডাচবাংলা ব্যাংক সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাইয়ার সেকেন্ডারি স্টাইফিন প্রজেক্টের (এইচএসএসপি) দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পড়ুয়া লালমনিরহাটের বিভিন্ন কলেজের ২ হাজার ৩৬৬ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। এর মধ্যে পাটগ্রামে ৩৮৫ জন, হাতীবান্ধার ৩৫৭ জন, কালীগঞ্জের ৫৫৫ জন, আদিতমারীর ৪১৪ জন ও লালমনিরহাট সদরের ৬৫৫ জন।

ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, সরকার ডাচবাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে উপবৃত্তির টাকা পাঠানোর চুক্তি করে। সে অনুযায়ী ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের এইচএসপি কর্তৃপক্ষের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ২ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে তিন দফায় ৪ কিস্তির টাকা পৌঁছে যায়। কিন্তু লালমনিরহাট সদর উপজেলার মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ জেলার বিভিন্ন কলেজের ৯৯ জন শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরের একটি করে ডিজিট (সংখ্যা) ভুল দেখানোর কারণে তারা দুই কিস্তির টাকা এখনও পাননি।

আদিতমারীর মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার আলম বলেন, ‘আমার কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুন ফেরদৌসির মোবাইল ফোনের একটি ডিজিট ৮ না হয়ে ০ হয়েছে। এ কারণে সে টাকা পায়নি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এইচএসএসপি কর্তৃপক্ষকে সংশোধন করে তালিকা পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।’

ডাচবাংলা ব্যাংকের লালমনিরহাট শাখা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকায় ভুল থাকার কারণে লালমনিরহাটের বিভিন্ন কলেজের ৯৯ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পায়নি। তবে সংশোধনী তালিকা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসলে আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেবো। মোবাইল ফোনের ডিজিট সংশোধন না করা হলে আমার কিছু করার নেই।’

লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার কলেজের দুই শিক্ষার্থী উপবৃত্তির প্রথম ও দ্বিতীয় দফার টাকা ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই পেয়েছেন। কিন্তু একই শিক্ষার্থী ততৃীয় ও চতুর্থ দফার টাকা পাননি। খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি তাদের মোবাইল ডিজিট ভুল হওয়ার কারণে তাদের টাকা পাঠাতে পারছে না ডাচবাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট এইচএসএসপি প্রকল্প বরাবর কাগজপত্র পাঠিয়েছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024662017822266