৮ম জাতীয় পে-স্কেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাগ্যের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। বিশেষ করে টাইম স্কেল তুলে দেওয়ার কারণে সারা জীবন একই পদে তাঁদের থাকতে হবে। এই মানুষ গড়ার কারিগররা আজ রাষ্ট্রে সবচেয়ে অবহেলিত ও বেতনবৈষম্যের শিকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পর পর দুবার বৈশাখীভাতা ও ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত। অথচ ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতনকাঠামো করার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে বাড়িভাড়া মাত্র ১০০০ টাকা, যা দিয়ে বাড়িভাড়া তো দূরে থাক বর্তমানে একটি কুঁড়েঘরও ভাড়া পাওয়া যায় না। চিকিত্সাভাতা মাত্র ৫০০ টাকা; অথচ বর্তমানে একজন সিনিয়র ডাক্তারের ফি জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা, এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট, তারপর ওষুধ কেনা। উত্সবভাতা কর্মচারীরা পান বেসিকের ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ। মাথায় খরচের চিন্তা নিয়ে পরিপূর্ণ পাঠ দান করা সম্ভব নয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের ভালো বেতন দেওয়ার বিকল্প নেই। সুতরাং সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পৃথক বেতনস্কেল চালু করে একইসঙ্গে টাইম স্কেল পুনর্বহালের জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. মোশতাক মেহেদী
সহকারী শিক্ষক, বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
কুমারখালী, কুষ্টিয়া