শিক্ষকের ঠ্যাং ভাঙার হুমকি, অভিযোগ অস্বীকার শিক্ষা কর্মকর্তার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) সাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ৮০ জন শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ গত সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন। নানা অভিযোগের একটি হচ্ছে একজন শিক্ষকের ঠ্যাং ভাঙার হুমকি।

তবে, ওই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেননি শিক্ষকরা। তাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সাহেদুল শিক্ষকদের ক্লাস্টারের আওতায় শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে তারিখ ও শিডিউলবিহীন কাগজে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। শিক্ষকরা নৈমিত্তিক ও চিকিৎসা ছুটির আবেদন করলেও সুপারিশ করেন না। বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন দেন। শ্রেণি পাঠদানে কোনো পরামর্শ দেন না।

উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্লিপ কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের সময় দুর্নীতি করেন। এ কার্যক্রমের আওতায় ওজন ও শব্দ যন্ত্র পুরনোগুলো ব্যবহারে বাধ্য করেন। পরিকল্পনার ছক নিজের মতো করে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে জোর করে এক হাজার টাকা করে নেন, যেখানে ছক তৈরি বা কম্পোজ করতে খরচ হয় মাত্র ৩০ টাকা। কাবস্কাউট প্রতিজ্ঞা আইন ও মটো একটি ব্যানার ১০০ টাকায় খরচ করে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা করে। বিদ্যালয়ে এসএমসি গঠনের ব্যয়ভার বহনের নামে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেন তিনি।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখান। সম্প্রতি মিথ্যা অভিযোগে সহকারী এক শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। মাসিক সমন্বয় সভা নিয়ম অনুসারে হয় না। ১০ জানুয়ারি সহকারী এক শিক্ষকের ঠ্যাং ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই কর্মকর্তার অন্যায়-অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।’

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা যেসব অভিযোগ করেছেন, তা মোটেও সত্য নয়। তাঁরা মিথ্যা আর বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। শিক্ষকরা সবাই এক হয়ে আমার বিরুদ্ধে নেমেছেন।’

রৌমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা যেসব অভিযোগ করেছেন, তার কিছুটা সত্যতা রয়েছে। বিষয়গুলো আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘এখনো অভিযোগ হাতে পাইনি। তবে শুনেছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025680065155029