বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ১০ম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছাত্রীর নাম আয়শা আক্তার (১৮)। সে উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের নাসির তালুকদারের মেয়ে ও গোয়ালভাওর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী।
আহত ছাত্রী জানান, গত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোয়ালভাওর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া-মোনাজাত শেষ হওয়ার সাথে সাথে আয়শা আক্তারসহ দুই ছাত্রী সভা কক্ষ থেকে বের হয়ে আসে। তখন মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাসিনুল ইসলাম দেখতে পেয়ে তাদেরকে ডেকে শ্রেণি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এর কিছুক্ষণ পরে ওই শিক্ষক আয়েশাকে গাবগাছের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আয়শার মা লাকী বেগম বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আহত আয়েশাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ কয়েজন শিক্ষক মিলে বাড়িতে নিয়ে আসে। পাশাপাশি আয়েশার চিকিৎসার ব্যয় বহনের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে মাদ্রাসা শিক্ষকরা।
অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন সরদার বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানের সময়ে শিক্ষার্থীরা সভা কক্ষে বসে উচ্চস্বরে কথা বলছিলো ও হাসাহাসি করছিলো। তাই শিক্ষক মোহাসিন তাদের কয়েকটি পিটুনি দিয়েছিলো।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ তিনি এখন পর্যন্ত পাননি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান ওসি।