দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীদের পক্ষে আদালত রায় দিয়েছেন। যেখানে ৭টি দফা উল্লেখ করা আছে। প্রথমত, সমন্বিত মেধা তালিকা করার কথা বলা হয়েছে। উপজেলা ও জেলা কোটা বাতিল করে শুধু নারী কোটা রাখা হয়েছে। তিন বছর বাদ দিয়ে সনদের মেয়াদ থাকবে আজীবন। এছাড়া, সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়া হলে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হবে। কিন্তু নিয়োগের কোনো সুস্পষ্ট ধারণা এখনো পাওয়া যায় নি। কেননা রায়ের কপি এখনও পাওয়া যায় নি।
ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীরা উপজেলা শূন্য পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। রায় শোনার পর তারা (ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীরা) হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছেন। কেননা, উপজেলা কোটা বাতিল হলে কি ১৩তমদের গেজেট অনুযায়ী নিয়োগ সম্ভব? এমন প্রশ্ন বারবার মনের মনিকোঠায় দোল খাচ্ছে। কেননা যদি ১ থেকে ১৩তম সমন্বিত মেধা তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয় তাহলে ১৩তমদের ২০ থেকে ৩০% নিয়োগ হতে পারে। এতে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
অন্যদিকে, ১ থেকে ১২তম রিট পিটিশনারগণ দুঃশ্চিন্তায় পরে গেছেন। কেননা তাদের অনেকের মার্ক কম। যদি শুধু রিটকারীদের নিয়োগের আদেশ আসে সেটা হবে তাদের জন্য আশীর্বাদ। তখন যারা রিট করেনটি তারা দলে দলে রিট করবেন। রায় যেন সকলের পক্ষে আসে এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে যেন সবাই মুক্তি পায়। জয় হোক সকল নিবন্ধিত হবু শিক্ষকদের। এটাই সকলের প্রত্যাশা।
মুন্নাফ হোসেন, সহকারি শিক্ষক, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ।