শিক্ষার স্বরূপ সন্ধানে

ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী |

একটি জাতির উন্নত ও আধুনিক হিসেবে গড়ে ওঠার মূল শক্তি হলো শিক্ষা। এটিকে গাছের শিকড়ের সঙ্গে তুলনা করা যায়।

যদি শিক্ষার শিকড় শক্ত কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে, তাহলে তা প্রকৃত শিক্ষায় পরিণত হতে পারে। কিন্তু সেটি যদি না হয়, তাহলে গতানুগতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তার প্রকৃত লক্ষ্য খুঁজে না পেয়ে বিপথগামী হয়। শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও তা এখনো সর্বজনীনভাবে সমাদৃত হয়নি। ফলে শিক্ষার প্রকৃত স্বরূপ কী হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উন্নত, পরীক্ষিত ও স্বীকৃত শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত থাকলেও অনেকে বলে থাকেন, তা আমাদের দেশের জন্য উপযোগী নয়। কিন্তু কেন উপযোগী নয় তার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই, বরং এটি অনেকটা নিজস্ব ধারণা থেকে বলা হয়ে থাকে। এর কারণ হলো, আমাদের দেশে শিক্ষা নিয়ে তেমন কোনো ধারাবাহিক গবেষণা নেই। শিক্ষা নিয়ে ভাবার জন্য বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, গবেষক, মনোবিদ, সমাজবিদসহ রাষ্ট্র ও সমাজের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে কোনো দীর্ঘমেয়াদি কমিটি নেই।

শিক্ষার পরিবর্তনশীলতা ও সমৃদ্ধিকরণে কোনো শিক্ষা-সম্পৃক্ত গবেষণাকেন্দ্র নেই। বিষয়টিকে এভাবে বিশ্লেষণ করা যায়— কোনো প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও উৎকর্ষ কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে না। মৌলিক ও ফলিত গবেষণার মাধ্যমে এর সমৃদ্ধকরণের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে কয়েক শতাব্দী ধরে। একইভাবে কোনো একটি শিক্ষাব্যবস্থার নীতিমালা প্রণীত হলেও তা যে অবস্থায় প্রণীত হয়েছিল সে অবস্থায় থেকে যায়। সময়ের সঙ্গে শিক্ষার পরিবর্তনশীলতাকে পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষানীতির সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি ভাবা হয় না।

আরেকটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো কোনো একটি নীতিমালা তৈরি করে তা বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও এর সাফল্য বা ব্যর্থতার অনুসন্ধানের ব্যবস্থা নেই। এটি যে শুধু শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়, যেকোনো বিষয়ে নীতিমালা করার পর তার প্রয়োগের ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয় না। সুচিন্তিত পরিকল্পনা, তার বাস্তবায়ন ও এটি বাস্তবে প্রয়োগের ফলে ফিডব্যাক নেওয়ার সংস্কৃতি বা মনোভাব এখনো আমাদের মধ্যে গড়ে ওঠেনি। যেটি আত্মসমালোচনার মাধ্যমে গড়ে তোলা দরকার। আর সব ক্ষেত্রে সেটি হলে আত্মোপলব্ধির সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। যদি বিশ্লেষণে দেখা যায়, অন্যান্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার চেয়ে আধুনিক, অগ্রসরমাণ এবং বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে অধিক সফল ও ফলপ্রসূ, তবে এটিকে নেতিবাচক হিসেবে না নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখতে হবে।

যদিও বিষয়টিকে দৃষ্টান্ত দিয়ে যৌক্তিক করতে হবে, তবে বলা যায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা বাংলাদেশ সবার আগে গ্রহণ করেছিল আর এটি সফল ও কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় ভারতের মতো রাষ্ট্র আমাদের অনুসরণ করে ডিজিটাল ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আবার পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যখন দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখন অনেকেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেছিল। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ঘোষণা করেছিলেন। আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। জাতি হিসেবে আজ আমরা গর্বিত। এটি একটি সেতু নির্মাণের বিষয় ছিল না, বরং এটি ছিল জাতির মর্যাদা, আত্মবিশ্বাস ও মনোবল গড়ে তোলার অদৃশ্যমান অনুপ্রেরণা।

শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে একেবারে শৈশব থেকে হাতে-কলমে শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষাদান করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে যেমন কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটবে, ঠিক তেমনি বাস্তব জীবনে এটি প্রয়োগ করে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার রোড আইল্যান্ড স্কুলের বিষয়টি বিবেচনায় আনা যায়। এই স্কুলের বৈশিষ্ট্য হলো শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দান করা। একেবারে শিক্ষাজীবনের প্রারম্ভ থেকে একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত অর্থে যে বিষয়ে শেখার প্রতি আগ্রহী হয়, সে বিষয়েই হাতে-কলমে জ্ঞানার্জন করতে পারে। পেশা হিসেবে পছন্দের কাজ বেছে নিতে সহায়ক হবে এই ভাবনায় এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে একত্র হয়ে কর্মক্ষেত্রে কাজ করে। এর পক্ষে যে যুক্তি রয়েছে, তা হলো এই শিক্ষার্থীরা একদিন তাদের পছন্দের কাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নেবে। তাই শৈশব থেকেই একজন শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে যে ধরনের কাজ করার স্বপ্ন দেখে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার যোগ্য করে শিক্ষাদান করাই এই স্কুলটির কৌশল ও শিক্ষাপদ্ধতি। বর্তমানে আমেরিকার মতো উন্নত রাষ্ট্রের ৫৫টি স্কুলে এ ধরনের শিক্ষাপদ্ধতি অনুসরণ করে শিক্ষাদান করা হচ্ছে, যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ভাবা যেতে পারে।

পৃথিবীর এক নম্বর শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থাকে চিহ্নিত করা হয়। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এ দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা প্রগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী শিক্ষার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য তা হলো রিডিং, গণিত ও বিজ্ঞানে ফিনিশ শিক্ষার্থীরাই পৃথিবীর সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। উন্নত, জীবনধর্মী ও বাস্তবমুখী শিক্ষাপদ্ধতি অনুসরণের ক্ষেত্রে ফিনল্যান্ডের পরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর ও জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা। অথচ অবাক করার মতো বিষয় হলো, এসব দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমাদের দেশের মতো পরীক্ষায় বসিয়ে গতানুগতিক পদ্ধতিতে মেধা যাচাই করা হয় না। আবার হোমওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টিও এখানে মুখ্য নয়। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকদের আগ্রহের বিষয় হলো ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা। ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার ‘হৃৎপিণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সে দেশের শিক্ষকদের। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে মৌলিক কিছু নীতিমালা থাকলেও তাঁদের প্রতি বিশ্বাস ও স্বাধীনভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

শিক্ষকদের মূল উদ্দেশ্য হলো, কিভাবে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল করে গড়ে তোলা যায় এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা যায়। কিভাবে একজন শিক্ষার্থী সহজে ও ভালোভাবে কোনো একটি বিষয়ে মনোযোগী হতে পারে, এ বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে শিক্ষকরা তাঁদের মেধা ও মননশীলতা প্রয়োগ করেন। অনেক বছর আগে আমাদের কাছের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণের কথা বললেও সেটি আমাদের দেশে প্রচলিত নেই; কিন্তু ফিনল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে এটিকে শিক্ষার মুখ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এসব দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় তথাকথিত মেধার মূল্যায়নের চেয়ে একজন শিক্ষার্থী কী শিখল, কিভাবে শেখাতে হবে, কিভাবে জীবনযাপন করতে হবে অথবা কিভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে নিজের আগ্রহের ও নতুন সৃষ্টির ভাবনা—এ বিষয়গুলোকেই প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ তারা মনে করে প্রকৃত সাফল্য ও বিজয় ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাচাই করা সম্ভব নয়।

যদি জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা বিবেচনা করা হয়, তাহলে দেখা যায় যে এখানে প্রথমত নৈতিকতা শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। চিরাচরিত বিষয় ছাড়াও জাপানের ক্যালিগ্রাফি ও কবিতা সম্পর্কে জানতে হয়। আর জীবনাচরণকে শেখানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এখানেও প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষাকে মেধা যাচাইয়ের নির্ণায়ক হিসেবে বিবেচনা না করে দেখতে দেখতে শেখা ও জীবনকে জানা এ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষাভীতি ও বইয়ের বোঝা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা তৈরি করে। একেবারে প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষা শিক্ষার্থী মূল্যায়নের সঠিক প্রক্রিয়া না হয়ে তা বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা তৈরি করছে। আরেকটি বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা হলো শিক্ষা মনের ও দৃষ্টিভঙ্গির উদারতা তৈরি না করে মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতা তৈরি করছে, যা মনস্তাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বিরূপ প্রভাব রাখতে পারে। যখন একজন শিক্ষার্থীকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে বলে অভিভাবকরা শৈশব থেকে তাদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন, তখন তাদের চিন্তার জগতের সীমা কমে আসে ও তার উদার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হওয়ার জায়গাটি বাধাগ্রস্ত হয়। তার মধ্যে এক ধরনের স্বার্থপরতা তৈরি হয়। ফলে সে তার আশপাশের সবাইকে মানবিক দৃষ্টিতে না দেখে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কল্পনা করে। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীকে যদি বলা হতো শিক্ষার মাধ্যমে তাকে প্রকৃত মানুষ হতে হবে, তাহলে তা সমাজ ও রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হতো। ফলে তার মধ্যে উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও সমাজের সবাইকে এগিয়ে নেওয়ার নিঃস্বার্থ গুণাবলি গড়ে উঠত। এখানে সমাজের প্রচলিত এককেন্দ্রিক মানসিকতা শিক্ষার লক্ষ্যকে ব্যর্থ করছে।

এখানে যে বিষয়টি চলে আসে তা হলো, শিক্ষার কারণে এককেন্দ্রিক মানসিকতা তৈরি হচ্ছে, নাকি মানসিকতার কারণে শিক্ষা তার গতিপথ হারাচ্ছে। তবে একটি যে অন্যটির পরিপূরক তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কিন্তু শিক্ষা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও শিক্ষার মাধ্যমে নতুন শিক্ষার সৃষ্টি, উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ও অন্তর্নিহিত ভাবনার বিষয়টি কেন মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করছে না তা সমাজতাত্ত্বিক, মনস্তাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা উচিত। তবে আশার কথা হচ্ছে, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন—এই দুই দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষা পিছিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধমে উন্নত ও জীবনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেখানে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রে পরীক্ষিত ও আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি বিদ্যমান আছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমাদের দেশে প্রচলনের উদারতা দেখাতে হবে। আর এটি যদি সম্ভব হয়, তাহলে আমাদের দেশও সেরা শিক্ষাব্যবস্থার সূতিকাগার হিসেবে চিহ্নিত হবে।

লেখক : অধ্যাপক, ঢাকা প্রকৌশল ও

প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051629543304443