শিক্ষা জাতীয়করণের প্রাসঙ্গিকতা

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন |

দেশের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা দাবি তুলছেন শিক্ষাকে জাতীয়করণ করার। বিষয়টার যৌক্তিকতা আমাদের স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে মিশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সূচনার উন্মেষকালটা শুরু হয় শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। রাজনীতির উদ্দেশ যদি হয় জনগণের কল্যাণের জন্য তাহলে এদেশের রাজনীতিবিদের উচিত ছিল অনেক আগেই শিক্ষাকে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করার। শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হয় নাই বলে আজ শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকার দিন দিন নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আর অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব না। মানব সম্পদ উন্নয়নের বিভাগটি হলো শিক্ষা, পৃথিবীর অনেক দেশে শিক্ষা দফতর বা মন্ত্রণালয়কে মানব সম্পদ দফতর বা মন্ত্রণালয় বলে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের সম্পূর্ণ রূপে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ না করায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা শিক্ষা মাধ্যমে যে মানব সম্পদ তৈরি হচ্ছে, তাদের দক্ষতার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয়টি নিয়ে চলে নানা ধরনের বাণিজ্য। শিক্ষার মাধ্যমে বাণিজ্যর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা দুর্নীতি বিস্তার ঘটাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। দেশের সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষা ক্ষেত্রের দুর্নীতি অনেকাংশে কমবে।

যেমন ভালো ফল বা অধিক মেধাবী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার আশায় হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে সন্তানকে অভিভাবকরা কোচিং সেন্টারে নিয়ে যান, কোচিং সেন্টার গুলিও সর্টকাট পদ্ধতিতে ভালো রেজাল্ট পাইয়ে দেয়ার জন্য নানা অসাধু পন্থা অবলম্বন করে। দেশের অধিকাংশ সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনার সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলো জড়িত। সুতরাং শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে কোচিংবাণিজ্য নিরসনের পথ সুগম হবে। যদি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ফলে এক ধরনের কারিকুলাম এবং পদ্ধতিতে শিক্ষণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে তাহলে ভালো মানের স্কুলে ভর্তির আশায় আর কেউ কোচিং সেন্টারে যাবে না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা পত্রে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে বাংলাদেশকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার এই তিনটি বিষয়কে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, স্বাধীনতার ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষা জাতীয়করণের বাইরে থাকা উচিত নয়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাটি ছিল সাম্যকে কেন্দ্র করে, পরাধীন বাংলার অসাম্যের সব কিছু দূর করতে এদেশের মানুষ সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার আশায় মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার আজ ৪৭ বছরে পা দেবে কিন্তু আজও শিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্য আসেনি। শিক্ষার ক্ষেত্রে গড়ে উঠেছে হরেক রকমের ব্যবস্থা তাই পণ্য বাণিজ্যের চেয়ে বড় বাণিজ্যিক উপাদানে পরিণত হয়ে গেছে শিক্ষা।

দেশের বিরাজমান শিক্ষা ব্যবস্থাটি বিত্তশালীর সন্তানদের মেধাবী করে তোলার একটি প্রক্রিয়া বললে ভুল হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্যাডার-ননক্যাডার নামে একটি দ্বন্দ্ব চলছে আর দ্বন্দ্বে লড়ছেন শিক্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই অনাহুত এবং অহেতুক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে আজ অজাতীয়করণ শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য। এই রকম অসংখ্য দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে আজ শিক্ষা ব্যবস্থার অভ্যন্তরে যার পেছনে মূল কলকাঠি নাড়ছেন একটি কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী, এই গোষ্ঠীর ইঙ্গিতেই বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থা দেশের মানব সম্পদ তৈরির মূল কারিগর শিক্ষকদের কাউকে কাউকে ব্রাহ্মণ কাউকে কাউকে শূদ্র বানানো হয়। আর এই বানানোর কারণেই শিক্ষকদের মাঝে তৈরি হয়েছে এক ধরনের অহমবোধ, এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ আত্মমর্যাদার লড়াই। এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর লড়াইয়ের কারণে জাতির মেরুদ- শিক্ষা ব্যবস্থায় বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলো এ ধরনের অহেতুক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতো না।

শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ না থাকার কারণে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে গড়ে উঠছে কোচিং সেন্টার, এখানে শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি পরিক্ষিত না হয়ে ট্রেড লাইসেন্সের ফি টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। বিষয়টি ভাবতে অবাক লাগে, শিক্ষা নিয়ে চলছে নানা ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা। একটি বাণিজ্যিকভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারপ্রধান পদক দিচ্ছে তার ছবি টানিয়ে ব্যবসার প্রসার বাড়াতে চাইছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা। পণ্য বাণিজ্যের ন্যায় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠার দরুন মেধা যাচাইয়ের বিষয়টিও গৌণ, কারণ অনুশীলনই একজন মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তোলে। তাই বাণিজ্যিকভাবে কোচিং নেয়া বা অধিক টাকা টিউশন ফি দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীটি সংগত কারণে মেধাবী হবে। শিক্ষার ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনেক অসচ্ছল অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়াতে কওমি মাদরাসার শরাপন্ন হয়। কারণ এখানে কিন্ডারগার্ডেন বা অন্য কোন বাণিজ্যিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো ব্যয় নেই তবে কওমির শিক্ষার্থীটিও বাণিজ্য পণ্যের উপাদানে পরিণত হয়। ভর্তির পর এই শিক্ষার্থীটিকে দিয়েই মাদরাসা পরিচালনার ব্যয়ের অর্থ সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়।

যেমন শিক্ষার্থীটিকে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ ধর্মের খেদমতকারী হিসেবে গড়ে তোলে, এই শিক্ষার্থীটিকে দিয়েই কোরবানির চামড়া, জাকাতের টাকা সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়। এই শিক্ষার্থী কর্তৃক সংগৃহীত অর্থ মাদরাসার তহবিলে জমা হয়। তবে এককভাবে উল্লিখিত কাজগুলো কোন শিক্ষার্থীকে দিয়ে করানো হয় না তারা দল বেঁধে এই কাজটি করে থাকে। এ ধরনের কাজ করার ফলে শিশু মনে ভিক্ষাবৃত্তি বা পরনির্ভরতা বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রবশে করে, যা দক্ষ ও আন্তঃনির্ভরশীল মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার অন্তরায়। আখিরাতের মঙ্গল পাবার আশায় সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে এই শিক্ষার্থীকে দান করে আর এই দানটি চলে যায় মাদরাসার পরিচালনাকারীদের হাতে। শিক্ষা জাতীয়করণ এবং সবার জন্য একই ধরন এবং পদ্ধতির প্রাথমিক শিক্ষা চালু হলে, কোন শিশুই আর বাণিজ্য পণ্যে রূপান্তরিত হবে না। দেশের প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরও প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা ধরনের বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাখাটা কি যৌক্তিক। এই অযৌক্তিকতার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থাটা প্রাথমিক স্তরেই বাণিজ্য পণ্যে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। অনেক কিন্ডার গার্ডেনে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের নাম তাদের অভিভাবকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তি করে রাখেন। যেন তারা পিএসসি পরীক্ষায় ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অংশ নিতে পারে। দেখা যায় এদের মধ্য থেকে অনেকেই ট্যালেন্টপুলেও বৃত্তি পায়। যদি কিন্ডারগার্ডেনসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাথমিক স্তরে একই রকম হতো, তাহলে আর শিক্ষার্থীটিকে নিয়ে অভিভাবকদের এমন খেলাটি খেলতে হতো না।

দেশের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থায় কতখানি জুড়ে আছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা জানা দরকার। একটি গণমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা যায় দেশের প্রাথমিক স্তরে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০.৬৫ শতাংশ সরকারি এবং ৪৯.৩৫ শতাংশ হলো বেসরকারি, মাধ্যমিক স্তরে এই চিত্রটি একটু ভিন্ন হয়ে যায়, মাধ্যমিক স্তরে মোট ৯৫.৩৯ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি এবং ৪.৬১ শতাংশ সরকারি। তবে এখানে বেসরকারি বলতে তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এক অর্থে বেসরকারি না। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব নিয়মকানুন সরকারি হিসেবে চলে শুধুমাত্র রাজস্ব খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের বাইরে অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় না। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯২.৯৯ শতাংশ বেসরকারি এবং ৭.০১ শতাংশ সরকারি, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ৯৫.১১ শতাংশ বেসরকারি ৪.৮৯ শতাংশ সরকারি, মাদরাসার ক্ষেত্রে ৯৯.৯৬ শতাংশ বেসরকারি আর .০৪ শতাংশ সরকারি। মাদরাসা, উচ্চ মাধ্যমিক, এবং কারিগরি এই তিন স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যানের সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত। দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের প্রবণতাটা দিন দিন বাড়ছে।

দেশের মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শতকরা ৭০.৭৬ শতাংশ বেসরকারি আর ২৯.২৪ শতাংশ সরকারি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে পরিমাণ টিউশন ফি নিয়ে শিক্ষা দিচ্ছে তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। টিউশন ফি নেয়ার বিষয়টিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের নিয়মনীতি না মেনেই চলছেন। তাছাড়া কারিকুলাম শিক্ষা সিলেবাসসহ নানা বিষয়ে ইউজিসির নির্দেশিকাটাও তারা যথাযথভাবে মেনে পাঠ্যক্রম পরিচালনা করে না। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বাণিজ্য পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেছে। সান্ধ্যকালীন কোর্সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চহারে টিউশন ফি নিচ্ছে, এই টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা হয় না, এই টিউশন ফি টা শিক্ষকদের অতিরিক্ত আয়। যেমনটি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়িয়ে ইনকাম করেন তেমনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনা করে অতিরিক্ত আয় করেন।

শিক্ষা বাণিজ্যিকরণ বা বেসরকারি করার ফলে শিক্ষা বাণিজ্যের পসরাটা এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চলে এসেছে এই লাভের লোভাতুর দৃষ্টি ভবিষ্যতে আরও কত গভীরে প্রোথিত হবে তা কেউ এখন বলতে পারবে না। দেশের বাণিজ্যিককরণ শিক্ষার কারণেও দুর্নীতির প্রবণতাটা দিন দিন বাড়ছে। স্বাধীনতার ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন তা ছিল সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা। শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষ্য নিয়ে তিনি এদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রথমে জাতীয়করণ করেন এবং এভাবে ধাপে ধাপে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণের পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এদেশের অর্থনীতিতে যেভাবে লুটেরা প্রবেশ করে ঠিক তেমনিভাবে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে বাণিজ্যিকায়ণ করার একটি প্রচেষ্টা চালু হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য উদ্দেশ বিনষ্ট করার যে প্রক্রিয়াটা চলে তার মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা বাণিজ্যকরণ অন্যতম। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতির মেধা বিকাশের পথকে বিভক্ত করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় বাণিজ্যকরণ করার ফলে কিছু পেশাদারী মুনাফাখোরদের হাতে শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আর অধিক মুনাফার লোভে শিক্ষা ব্যবস্থায় তারা নানা ধরনের দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের উল্লেখিত জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার এই তিনটি বিষয় প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্ব প্রথমেই শিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্য আনতে হবে। অর্থাৎ সব শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে একই মানের শিক্ষা ব্যবস্থা সবার জন্য চালু করতে হবে। ধনী বা দরিদ্র হিসেবে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগকে আলাদা করা যাবে না।

লেখক: কলামিস্ট

 

সৌজন্যে: সংবাদ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061328411102295