শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতায় এক হাজার কোটি টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অদক্ষ ব্যবস্থাপনায়, বাস্তবায়নে যথাযথ পরিকল্পনার অভাব এবং প্রকল্প ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণের কারণে শিক্ষায় উন্নয়নখাতে বরাদ্দকৃত পুরো অর্থ ব্যয় করতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে যেকোন মূল্যে উন্নয়নখাতের পুরো অর্থ ব্যয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালককে (পিডি)। এতে উন্নয়ন কাজ মানসম্মত হবে কীনা তা নিয়ে সন্দিহান প্রকল্প বিশ্লেষকরা।

২৬শে এপ্রিল দৈনিক সংবাদের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) গত মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ৩৪ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত এই হার ছিল ৪৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এছাড়াও এবার বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বাস্তবায়নের হার একেবারেই কম। এজন্য এবার প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ফেরত যেতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন।

গত ৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সর্বশেষ মাসিক পর্যালোচনা সভায় আরএডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এতে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- এমন দু’জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

প্রতিবছর জাতীয় বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে অর্থ বরাদ্দ দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে সকল মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নখাতের বরাদ্দ সংশোধন অর্থাৎ কোন মন্ত্রণালয় ইচ্ছে করলে বরাদ্দ হ্রাস বা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব করতে পারে, যাকে আরএডিপি বলা হয়। আরএডিপিতে কোন মন্ত্রণালয় পুরো বরাদ্দ ব্যয় করতে না পারলে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রকল্পের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পুরো বছরই ইচ্ছেমত প্রশিক্ষণ গ্রহণের নামে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নামে দেশেও প্রমোদ ভ্রমণ করেছেন। এতে করে তারা প্রকল্পের ফাইল চালাচালি ও নথি আদান-প্রদান, উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও এ সংক্রান্ত কাজে যথাযথ মনোনিবেশ করতে পারেননি। এজন্য প্রকল্পের বাস্তবায়নে জট লেগেছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ দিনের ভ্রমণে যান শিক্ষা প্রশাসনের ১৫ জন কর্মকর্তা। আরও ১৫ জন কর্মকর্তা বর্তমানে দুই মাসের ভ্রমণে নিউজিল্যান্ডে আছেন, যারা ফিরবেন আগামী ১ মে। এর আগে গত অক্টোবর মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রকল্প ‘টিচিং কোয়ালিটি ইম্প্রুভমেন্ট-২’-এর অর্থায়নে নিউজিল্যান্ডে ‘সাপোর্ট টু টুইনিং পার্টনারশিপ মেকানিজমস’ শীর্ষক ১৫ দিন ভ্রমণ করেন ১৬ জন কর্মকর্তা। এরপর মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য গত ২০ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত কানাডা ভ্রমণ করেন শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ কর্মকর্তা। এছাড়া শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও প্রশিক্ষণের নামে নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করছেন।

মাসিক পর্যালোচনা সভার মিনিটস (সভার কার্যবিবরণী) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আরএডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে এক হাজার ৮৩০ কোটি ৪৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এটি বরাদ্দকৃত অর্থের ৩৪ শতাংশ মাত্র।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরি কমিশন (ইউজিসি) ব্যানবেইস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ স্কাউটস পরিচালিত হয়। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের অধীনে রয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। এসব সংস্থাও বাড়তি বরাদ্দ নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে।

এর মধ্যে মাউশি ২৯১ কোটি টাকা, কলেজ ডেপেলপমেন্ট প্রজেক্ট ৮০ কোটি টাকা, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ২৮০ কোটি টাকা, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগ প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারছে না বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা সংবাদকে বলেন, ‘অন্যদের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে ইইডির অনুকূলে বরাদ্দকৃত কোন অর্থই অব্যয়িত থাকবে না। আমরা উন্নয়ন কাজের যথাযথ মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই ঠিকাদারদের অর্থ পরিশোধ করি। মন্ত্রী ও সচিব স্যার নিয়মিত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের ওপর তীক্ষ্ন নজর রাখছেন। প্রত্যেকটি উন্নয়ন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হচ্ছে। আমি নিয়মিত ফিল্ড ভিজিটে যাচ্ছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরএডিপি অনুযায়ী সকল প্রকল্পের আর্থিক চাহিদাপত্র চেয়েছিল পরিকল্পনা কমিশন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণে থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাসময়ে এই চাহিদাপত্র দিতে পারেনি। এজন্য গত নভেম্বর-ডিসেম্বর অর্থাৎ এডিপি’র চাহিদাপত্র অনুযায়ীই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে বেকায়দায় পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন অর্থ ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় অর্থবছরের শেষ প্রান্তে অব্যয়িত অর্থ কয়েকটি প্রকল্পে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। এতে অর্থ ব্যয়ে হিমশিম খাচ্ছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুটি প্রকল্পের দু’জন প্রকল্প কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘এডিপিতে (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) প্রয়োজনীয় অর্থ চেয়েও পায়নি। এখন অর্থবছরের শেষ পর্যায়ে এসে আরএডিপিতে অর্থ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে উন্নয়ন করতে গেলে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজের সুযোগ নিবে। এতে করে কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। আর নিম্নমানের কাজ হলেও এর দায় কে নেবে?’

অর্থ বরাদ্দে অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের (১,৫০০ কলেজ) উন্নয়ন প্রকল্প’র অনুকূলে চলতি অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৪৯৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কিন্তু আরএডিপিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক হাজার ১২৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। চাপিয়ে দেয়া বিশাল এই অর্থ ব্যয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পরেছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে এই প্রকল্পের পিডি প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘অনেক প্রকল্প কর্মকর্তা চেয়েও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’

এদিকে ‘কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’র অনুকূলে চলতি অর্থবছরের আরএডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বিদেশি দাতা সংস্থার অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই প্রকল্পের পিডি নিয়োগ হয়েছে মাত্র দু’মাস আগে। এজন্য সময়মতো পিডি নিয়োগ ও অর্থ ছাড় না হওয়ায় এই প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থই ফেরত যাচ্ছে। যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হবে।

কিন্তু গত এপ্রিলে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সকল পিডিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, প্রকল্পের বিপরীতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আরএডিপিদের বরাদ্দকৃত সমূদয় অর্থ ব্যয় করতে হবে। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ যদি কোন কারণে ব্যয় করা সম্ভব না হয় অথবা অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হয় তা মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে অবহিত করতে বলা হয়।

ইউজিসির অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’র অনুকূলে বরাদ্দ রয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। আর গত মার্চ পর্যন্ত ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। বাকি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যয় করতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই প্রকল্পের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও উঠে। কিন্তু কারও কোন শাস্তি হয়নি।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইউজিসির প্রকল্পগুলো মূলত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে, প্রকল্প কর্মকর্তারা বরাদ্দকৃত পুরো অর্থ ব্যয় করতে না পারলে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে অর্থ সরিয়ে ফেলতে পারে। অর্থবছর শেষে এই অর্থ ব্যয় করার চেষ্টা করবেন। এটা হলে তা হবে অনিয়ম। এই সুযোগ যাতে না পায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’

সূত্র: দৈনিক সংবাদ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002960205078125