প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের নানা সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও প্রাথমিক শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভায় ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।
সহকারি শিক্ষকদের ৫ দফা দাবিগুলো হল- প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে সহকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ, বিভাগীয় পদোন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষকদের নন ভোকেশনাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবে ঘোষণা, বিদ্যালয়ের সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা ও শিক্ষক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর জরাজীর্ণ একটা দেশের ৩৭,০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের পাশাপাশি প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আরো বেশি উন্নত হত।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু চাইলে পাকিস্তানি সরকারের প্রস্তাব মেনে আরাম আয়েশে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি এই দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তিনি দেশের মানুষের কথা সব সময় ভাবতেন। তার মেয়ে শেখ হাসিনারও বাবার মতো সব স্বপ্ন বাংলাদেশের মানুষকে কেন্দ্র করে। দেশে প্রতিনিয়ত উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপেই সহকারি শিক্ষকরা বেতন পেতেন আর টাকার অংকের ব্যবধান ছিল মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের তিন ধাপ নিচে সহকারি শিক্ষকরা বেতন পান। যা টাকার অংকে ২৩০০ টাকা। তারা এই বৈষম্য নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করানোর জন্য তথ্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, আরিফুজ্জামান কাকন, এ্যামিলি দেওয়ান, আব্দুল আজিজ, জাকির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের, ফিরোজ আলম, মতিউর রহমান, জহিরুদ্দিন টিপু, কামরুজ্জামান, সালেহ আক্তার মুক্তা, ফাতেমা চৌধুরী পিনু, নিরঞ্জন রায়, মাসুদুর রহমান, মো. ফিরোজ, মিজানুর রহমান, আবুল ফারাহ প্রমুখ।