জেলার সুজানগরে বছরের শুরুতেই নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বইয়ের জমজমাট বাণিজ্য চলছে। বিশেষ করে উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঘিরে এই বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে একদিকে অভিভাবকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা গাইডনির্ভর হওয়ায় মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়—উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ামাত্র তাদের গাইড ও নোট বই কিনতে হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে—বার্ষিক পরীক্ষায় এক শ্রেণি থেকে উত্তীর্ণ হয়ে অন্য শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ামাত্র চাপের মুখে তাদের গাইড ও নোট বই কিনতে হচ্ছে। শুধু তাই না, কোন প্রকাশনীর গাইড ও নোট বই কিনতে হবে সেটাও বলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বুক লিস্টেও পছন্দের প্রকাশনীর নাম লিখে দেওয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষায় ওইসব প্রকাশনীর গাইড ও নোট বই থেকেই বেশিরভাগ প্রশ্ন করা হয়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে—বছরের শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। তা ছাড়া, ওই সকল প্রকাশনী তাদের সেলসম্যানদের মাধ্যমে স্কুলগুলোকে হাজার-হাজার টাকার ফ্রি বইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র উপহার দিয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলী বলেন, ‘নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সরকারি আইন রয়েছে। এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে গাইড ও নোট বই বিক্রি হবে না।’