চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষসহ নানামূখী সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সরকারের শিক্ষার উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এলাকার দূরদর্শী শিক্ষানুরাগীরা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সুবিধার্থে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। জনবহুল স্থানীয় সরকারহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ায় জনপ্রয়োজনে এ বিদ্যালয়ের পাশে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিদ্যালয়ে সুনামের সহিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাক প্রাথমিকসহ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলে। এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৮শ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের কার্যালয়সহ বর্তমানে শুধুমাত্র ৬টি কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষে খোলা মেলা ভাবে শিক্ষার্থী বসালে একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ জন পর্যন্ত বসানো যায়। কিন্তু প্রতিটি শ্রেণিতে বর্তমানে দ্বিগুণ শিক্ষার্থী বসাতে হয়। কক্ষ সংকটের কারণে প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি প্রথম শিফটে পাঠদান করা হয়।
এছাড়া দ্বিতীয় শিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। বর্তমানে যেসব শ্রেণি কক্ষ রয়েছে এতে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে। শিক্ষার্থীর তুলনায় বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। শ্রেণি কক্ষ সংকট ছাড়াও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আসবারপত্রের অভাব, সুপেয় পানিয় জলের সংকট বিদ্যালয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন এ কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভাবে পাঠদান করা যাচ্ছে না। দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবহিত আছেন। বিদ্যালয়ে সমাপনী পরিক্ষায় এবার ২০ জন জিপিএ পেয়েছে। যা এ উপজেলায় সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ জিপিএ। ১৬ জন বৃত্তি পেয়েছে। যদি শ্রেণিকক্ষ সংকট সমস্যার সমাধান করা যায় তাহলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে।
উপজেলা শিক্ষা কমিটি সূত্র জানান, এ বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকট রয়েছে। শ্রেণি কক্ষ সংকট সমাধানের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করতে কমিটির প্রস্তাবনাসহ পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি এর ডিও লেটারসহ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু কি জন্য এ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন বরাদ্ধ আসছে না তা বুঝা যাচ্ছেনা।