স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণে অনিয়ম এবং নৈরাজ্য

রাকিব উদ্দিন |

বেসরকারি স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ে প্রতিটি স্তরে হচ্ছে অনিয়ম। আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠছে। বিভিন্ন জেলায় নিজ নিজ পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের দাবিতে মিছিল-সভাবেশ হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নানারকম অভিযোগও দেয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত কলেজের ভৌত অবকাঠামো, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকের সংখ্যা বিবেচনায় না নিয়ে তদবিরের চাপে প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। জাতীয়করণের জন্য জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, জেলা প্রশাসক ও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে পৃথক পৃথক প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠানো হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

কিন্তু প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়ের বিদ্যমান অবস্থা এবং প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য উপযোগী কিনা সেটা বিবেচনায় না নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী ব্যক্তি কী পরিমাণ প্রভাবশালী সেটা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা প্রশাসন। এর ফলে সরকারের মহতী এই উদ্যোগ নিয়ে নানা রকম বিতর্ক হচ্ছে। আবার সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের মামলার কারণে এক ডজন প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ প্রক্রিয়া ঝুলে গেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাউশি অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান অবস্থা ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদাপত্র মূল্যায়ন করেই জাতীয়করণ কার্যক্রম চলছে। কারো অভিযোগ-আপত্তি থাকলে তাও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।’
‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারীকরণ/জাতীয়করণ সংক্রান্ত’ একটি চিঠি গত ১৮ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) জমা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা যায়, সরকারীকরণের জন্য এর আগে মনোনীত দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদ-ী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিবর্তে কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভোলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে হাজীরহাট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাহিদাপত্রের (ডিও লেটার) ভিত্তিতে আগের প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলায় স্কুল মনোনয়নে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে উপজেলার তিনটি সেরা স্কুলের তথ্য চাওয়া হয় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে। এরপর চট্টগ্রামের ডিসি জিল্লুর রহমান চৌধুরী গত ৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠান। এতে দেখা যায়, নিজস্ব জমি, স্থাপনা, শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার ফলাফলে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে, কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়। এটি ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, যার জমির পরিমাণ অন্য দুই প্রতিষ্ঠানের চেয়েও বেশি।

রাজশাহীর চারঘাট ‘আলহাজ এমএ হাদী কলেজে’র অধ্যক্ষ মো. সামসুজ্জোহা সম্প্রতি শিক্ষা সচিবের কাছে এক চিঠিতে ‘চারঘাট উপজেলার অন্তর্গত ‘সরদহ মহাবিদ্যালয়’কে বাদ দিয়ে উপজেলা সদরের আলহাজ এমএ হাদী কলেজকে জাতীয়করণের তালিকাভুক্তি করার অনুরোধ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরদহ কলেজটি উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শিক্ষানীতি অনুযায়ী কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যূনতম ১.২৫ একর নিজস্ব জমি থাকতে হবে। কিন্তু সরদহ মহাবিদ্যালয় যে জমির ওপর অবস্থিত তা সরদহ মোজার সরদহ ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০ বিঘা জমি ও হাওয়া বেগমের .৬৭ একর জমি (আদালতে বিচারাধীন) ইউনিয়ন পরিষদের নামে নামজারি হয়েছে। এই জমির ভূমিকর ইউনিয়ন পরিষদ পরিশোধ করে আসছে। তবে সরদহ মহাবিদ্যালয়ের নামে ২.৭৭ একর কৃষি ও আবাদি জমি রয়েছে, যা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ২.৩ কিলোমিটার দূরে।’

অধ্যক্ষ মো. সামসুজ্জোহা বলেন, ‘জালিয়াতির মাধ্যমে সরদহ মহাবিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানকে আবার জাতীয়করণের জন্য তোড়জোড় চলছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চারঘাট ‘আলহাজ এমএ হাদী কলেজ’কে জাতীয়করণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদও এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছিল। জাতীয়করণের লক্ষে মাউশি এই কলেজের সার্বিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু একজন প্রতিমন্ত্রীর তদবিরের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরদহ কলেজকেই জাতীয়করণের জন্য তৎপরতা চালায়। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী মিছিল করেছিল বলে জানান অধ্যক্ষ মো. সামসুজ্জোহা। তিনি জানান, জাতীয়করণের খবর পেয়ে তাড়াহুড়ো করে সরদহ কলেজে ২০-২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ‘গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়’কে জাতীয়করণের লক্ষে পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করেছে মাউশি। সেই অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে সরকারের ডিড অব গিফট (দলিল হস্তান্তর চুক্তি) হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের নাম জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভুলক্রমে ওই প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।’ এই স্কুল জাতীয়করণের জন্য পৌর মেয়র শরীফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, স্থানীয় সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুপারিশ করেছিল। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রভাবশালী আমলা এই স্কুলটি বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের এক স্কুলকে জাতীয়করণের চেষ্টা করছেন।

‘গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন  বলেন, ‘সব ধরনের ক্রাইটেরিয়ায় আমার স্কুলটি জাতীয়করণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এরপরও এই স্কুলটিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন তা বোধগম্য নয়। তবে আমি শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি, আমার প্রতিষ্ঠানকে বাদ না দিতে। পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপও নিচ্ছি।’

বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানী শহীদ মোখলেছুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আহম্মদ আল মুতী গত ১৫ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এক চিঠিতে অভিযোগ করেন, ‘ডেমাজানী শহীদ মোখলেছুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়’ সকল কার্যক্রমে উপজেলার মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে স্কুলটি বাদ দিয়ে ‘চাচাইতারা মাদলা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়’কে জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করছি।’
মামলার কারণে স্থগিত

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে গত ২৩ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, মামলা সংক্রান্ত কারণ ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছী উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ স্থগিত’ রাখা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করণের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা’ দেয়া হয়েছে।

ফেনীর পরশুরাম পাইলট হাইস্কুল মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়করণ বন্ধ রাখার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন জেলার পরশুরাম উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত আশুতোষ বৈদ্যের ছেলে সাধন চন্দ্র বৈদ্য।

তিনি আবেদনে বলেন, ‘উপজেলা সদরের পরশুরাম পাইলট হাইস্কুলটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর অবস্থিত। বিদ্যালয় সংলগ্ন আমার অবশিষ্ট পৈত্রিক সম্পত্তি বিদ্যালয় কর্তৃক জবর দখল করে আছে, যার মামলা সুপ্রিম কোর্টের লিভ-টু-আপিল বিভাগে চলমান, মামলা নম্বর-১০৭৬/২০১২। এমতাবস্থায় মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ না করার জন্য আবেদন করছি।’


গত ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতিপ্রাপ্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ১৪৮টি উপজেলায় একটি করে মোট ১৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শনপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দ্রƒত প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে বর্ণিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সকল ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা জারির জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।’
স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ

দেশে মোট উপজেলা ৪৮৯টি। এর মধ্যে সরকারি কলেজ রয়েছে ১৬১টি উপজেলায়। অর্থাৎ ৩২৮টি উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই। সরকারি কলেজ নেই- এই ধরনের ৩২১টি উপজেলায় একটি করে বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গত ১২ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দেশের যেসব উপজেলায় কোন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজ নেই সেসব উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি কলেজকে সরকারীকরণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে ২৮৫টি বেসরকারি কলেজ সরকারীকরণের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সম্মতি পাওয়া গেছে। সে আলোকে শীঘ্রই পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের অনুমোদন দেন। এরপর এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত বছরের ৪ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ওই বছরের ৩০ জুন থেকেই ১৯৯টি কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কথা বলা হয় মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে।
মাউশি ১৯৯টি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, উন্নয়ন কার্যক্রম, শিক্ষার্থীসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রণয়ন করছে। মাউশিকে ১৯৯টি কলেজের পৃথক পৃথক পরিদর্শন প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়। এরপর এগুলো চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে জাতীয়করণের পাশাপাশি সরকারি বিদ্যালয়বিহীন কয়েকটি উপজেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি সরকারি হাইস্কুলও প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৩০৬টি উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। এসব উপজেলায় একটি করে বেসরকারি বিদ্যালয়কে (অপেক্ষাকৃত ভালো অবকাঠামো থাকা) জাতীয়করণ করছে সরকার।

এই সিদ্ধান্তের আলোকে গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সারাদেশের ১৪৮টি হাইস্কুল জাতীয়করণের তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিপ্রাপ্ত ১৪৮টি হাইস্কুল পরিদর্শন করে সুস্পষ্ট প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য মাউশি অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে মাউশি অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে মাউশির প্রতিবেদন পাওয়ার পর জাতীয়করণ তালিকাভুক্ত ১৪৮ বিদ্যালয়ের নামে গেজেট প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম পর্যায়ে ৭১টি স্কুলকে জাতীয়করণ করা হচ্ছে।

এ কার্যক্রমের অগ্রগতি জানতে চাইলে মাউশি অধিদফতরের উপ-পরিচালক একেএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘স্কুলগুলোর বিষয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠাতে আমাদের ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা কাজ করছেন।’

সূত্র: দৈনিক সংবাদ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037100315093994