হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষায় নানাভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক ফোরাম ভর্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ এবং ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে উচ্চ তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলরাম রায় অভিযোগ তুলে ধরেন।
অভিযোগে বলা হয়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কয়েকটি কক্ষে জেলাভিত্তিক পরীক্ষার আসন বিন্যাস করা হয়। এছাড়া একটি ইউনিটে দুই শিফটের পরীক্ষায় সমান সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও ফলাফলে ত্রুটি রয়েছে।
“এফ ইউনিটের প্রথম শিফটে পাশের হার ১৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় শিফটে পাশের হার ৮৫ শতাংশ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে।”
প্রথম শিফট ও দ্বিতীয় শিফটের ফলাফলে এই ব্যবধান কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে পরীক্ষার ফলাফল অধিকতর যাচাই-বাছাই করে ফল প্রকাশের লিখিত প্রস্তাব করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষকদের মতামতকে উপেক্ষা করে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত’ ফলাফল প্রকাশ করে।
“যে কারণে রেজল্ট শিটে ভর্তি কমিটির ৬ সদস্য স্বাক্ষর করেননি।”
তাই সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ এবং ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে উচ্চ তদন্ত কমিটি গঠন সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপিত মো. আনিস খান, অধ্যাপক মো. সাইফুর রহমান, অধ্যাপক এ. টি. এম. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক এস. এম. হারুন-উর-রশীদ প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সাফিউল আলম বলেন, “কোনো ক্ষেত্রে অসতর্কতার কারণে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশ সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছতার সাথে করা হয়েছে।”