অবশেষে শর্তসাপেক্ষে কোড পরিবর্তনের বৈধতা পেলো ১২৬টি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজ। এর মধ্যে ৮১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫টি কলেজ।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলেও এসব স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে টাকার বিনিময়ে এমপিওভুক্ত করিয়ে নেয়া হয়। অবৈধভাবে মাধ্যমিক স্তরের কোডও পরিবর্তন করা হয় এমপিওশীটে। একইভাবে উচ্চমাধ্যমিক কলেজে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করে টাকার বিনিময়ে। কোডও পরিবর্তন করে অবৈধভাবে। পরবর্তীতে অবৈধভাবে কোড পরিবর্তনের বিষয়টি ধরা পড়ে। কয়েকবছর আগে ইএমআইএস সেল ও অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারির মিলে এমন দুর্নীতি করে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত ও সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, “৪৫টি কলেজে বর্তমানে এমপিওভুক্ত জনবল ১৮৯০ জন। কোড পরিবর্তন হলে অতিরিক্ত ৪১৫ জন জনবল হবে।”
অধিদপ্তরের অপর এক সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে পঞ্চগড়ের কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় অধিদপ্তরের আফসার উদ্দিনসহ কয়েকজন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার ১৮ই সেপ্টেম্বরের এক চিঠিতে কোড পরিবর্তনের বৈধতার খবর জানা যায়। বৈধতা পাওয়ায় অতিরিক্ত কিছু জনবলকে এমপিওভুক্তও করতে হবে। এতে এমপিওবাবদ সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধি পাবে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
উপ-সচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত চিঠিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, “অর্থ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, “এমপিও নির্দেশিকা-২০১০ (মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত)” এর আলোকে নিম্নোক্ত শর্তে ৮১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক স্তরে এবং ৪৫টি উচ্চমাধ্যমিক কলেজকে ডিগ্রি স্তরে কোড পরিবর্তনে নির্দেশক্রমে সরকারের সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো: “স্তর পরিবর্তনের যে ধরণের সিদ্ধান্তই গৃহীত হোক না কেন বিদ্যমান শিক্ষক-কর্মচারিগণ বর্তমানের ন্যায় এমপিও খাতের বরাদ্দ হতে তাদের বেতন-ভাতাদি পাবেন।”
এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষার হাতে রয়েছে। পাঠকের জন্য কয়েকটি স্কুল ও কলেজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হলো। নীচের ছকে দেখানো হয়েছে কলেজগুলোর বর্তমান এমপিওভুক্ত জনবল ও কোড পরিবর্তনের বৈধতা দেয়ার পর জনবল কতো হবে এবং সরকারের খরচ কত বৃদ্ধি পাবে।