কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল জেলা সদরের কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। বিয়ের আসরে অভিযান চালাতে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বরযাত্রী ও কনের বাবা। শুক্রবার(১৭ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের জন্য পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বাঙালপাড়া গ্রামের মৃত ঝরু বসুনিয়ার ছেলে রাজীবের সাথে বিয়ের দিন ধার্য করে। মেয়ের বাবা অত্যন্ত ধূমধাম করে দেয়ার লক্ষে এ বাল্য বিয়ের আয়োজন করে। ঐদিন দুপুরবেলা আত্মীয় স্বজনদের ভোজের ব্যবস্থাও ছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরযাত্রীরা আসার কিছুক্ষণ পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিন আল পারভেজ ও পুলিশ প্রশাসন বিয়ের আসরে অভিযান চালায়।
ইতোমধ্যেই বর, বরযাত্রী ও কনের বাবা তাদের আসার খবর টের পেলে প্রশাসনের লোকজন আসতে না আসতেই পালিয়ে যায়। এরপর তাদের সবার সামনে কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেনা শর্ত সাপেক্ষে কনের মা মুচলেখা দিলে প্রশাসন তাকে ছাড় দেন।