অঙ্ক বুঝতে চাওয়ার অপরাধে মেরে হাত ভেঙে দিলো ২ শিক্ষিকা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

অঙ্ক বুঝতে পারেনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি। হোস্টেলে পড়ানোর সময় বার বার নিয়ম জানতে চাইছিল সে। সেই ‘অপরাধে’ ওই ছাত্রীকে মেরে ডান হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠল দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। সোমবার (৮ জুলাই) আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের বিজয়রামপুর মসনদ-ই-আলা গার্লস মাদরাসার হোস্টেলে গত ২১ জুন ওই ঘটনা ঘটে। সুতাহাটার আমলাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রুপসানা খাতুন নামে জখম ওই ছাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে তার ডান হাতের এক্স-রে করলে দেখা যায়, কব্জি ভেঙে গিয়েছে। ওই ছাত্রীর মা ২৬ জুন সুতাহাটা থানায় ওই দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

রুপসানার মা হলদিয়া পুরসভার ঠিকাকর্মী। বাবা বেকার। দরিদ্র পরিবার। মানসুরা বিবি জানান, মেয়ে হোস্টেলে থেকে পড়ে। গত ২১ জুন রাতে হস্টেলে টিউশনের সময় রুপসানা পারভিন ও সুরাইয়া খাতুন নামে দুই শিক্ষিকা তাঁর মেয়েকে মারধর করেন। মারের চোটে মেয়ের ডান হাত ভেঙে যায়। পরদিন মেয়ের সহপাঠীদের কাছে খবর পেয়ে তাঁরা হোস্টেলে যান। সেখান থেকে  মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। দিন কয়েক পরে তাঁরা স্কুল-কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মানসুরা।

ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেয়ায় তাঁরা ফের ৩ জুলাই থানায় যান। তখন তাঁদের বলা হয়, ওই দুই শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা হচ্ছে। তারপরেও তদন্ত না এগোনোয় মানসুরারা ফের ৭ জুলাই সকালে থানায় যান। এরপর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।

কেন আগে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? পুলিশের দাবি, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই কিছু বলা যাবে না। অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মনীষা দাস। তাঁর দাবি, ‘‘ছাত্রীটির পরিবারের লোক মিথ্যা বলছেন।’’ যদিও হস্টেলে ছাত্রীর হাত ভাঙল কী করে, তার সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক শ্রীবাস মাইতি বলেন, ‘‘এক ছাত্রীকে মারধর করার জন্য থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।’’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028359889984131