যাদেরকে সবাই অবহেলা করে, কোন মূল্য দেয় না কেউ । সেইসব অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে যশোরের একটি বিদ্যালয়। কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গার এ বিদ্যালয়ের নাম রহমত আলী অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। পাঁচ বছর ধরে সমাজের অবহেলিত শিশুদের জ্ঞানের মশাল জ্বালাচ্ছে বিদ্যালয়টি। ২১ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী আছে ১২০ জন।
প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৪ শিক্ষক ও ১৩ জন কর্মচারী রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের বহনের জন্যে আছে দুটি ভ্যান ও দুটি ইজিবাইক। বিদ্যালয় থেকে শিশুদের বিনা খরচে টিফিন দেয়া হয়।
মাদারডাঙ্গা গ্রামের শিক্ষার্থী তানভীর ও তহিদুলের মা তানজিলা বেগম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন,আমার ছেলেদের উন্নতি হয়েছে। স্যাররা কোন টাকা নেন না। বেলেকাঠি গ্রামের আল আমিনের মা আকলিমা বলেন, স্যাররা যত্ন করে শেখান। টিফিনে খেতে দেন।
জমিদাতা আব্দুস সালাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। পরের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেছি, রাতে দোকান পাহারা দিয়েছি । এরপরও অভাব অনটনের মাঝে পড়ালেখা শেষ করে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাইমারি স্কুলে চাকরিতে যোগদান করি।
তিনি বলেন, সমাজের অবহেলিতদের প্রতি আমার তাই একটা দরদ ছিল। সে দরদই এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আমার অনুপ্রেরণা। আমার আব্বা রহমত আলীর নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল মান্নান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, এলাকায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সুবিধা বঞ্চিত অবহেলিতদের কর্মমুখী করে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। নিজেদের খরচে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে হচ্ছে।সরকারের সহযোগিতা পেলে আরো ভালোভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা যাবে।