অতিরিক্ত চাঁদা কর্তনের জটিলতা নিরসনে কমিটি গঠনের আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য শিক্ষকদের এমপিও থেকে মাসিক চাঁদা বাবদ ৪ শতাংশ অতিরিক্ত কর্তন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন ও স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তবে, অধিদপ্তরের দেয়া এ আশ্বাসকে প্রহসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন শিক্ষক নেতারা। বৈঠক শেষে তারা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন, বৈঠকে বসার আগেই ৪ শতাংশ অতিরিক্ত কর্তন করে এপ্রিলের এমপিওর চেক ছাড় করা হয়েছে। যা দুঃখজনক। এপ্রিল মাসের বেতন থেকে অতিরিক্ত চাঁদা কর্তন স্থগিত না করলে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন শিক্ষকরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক চাঁদা কর্তনের জটিলতা নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে কয়েকজন শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পর মহাপরিচালক মন্ত্রণালয়ে চলে যান। পরবর্তী সময়ে কলেজ শাখার পরিচালক শাহেদুল খবির চৌধুরী সভা পরিচালনা করেন। বৈঠক শেষে জটিলতা নিরসনে একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

কাওছার আলী শেখ জানান, আমরা ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের আদেশ এবং অতিরিক্ত চাঁদা কর্তন করে ছাড় করা বেতন স্থগিত করে আলোচনার দাবি জানিয়েছি। এছাড়া জটিলতা নিরসনে শিক্ষক সংগঠনের নেতা ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের দাবি তুলেছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা শিগগিরিই কমিটি গঠন এবং বেতন স্থগিতের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সভার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষক নেতারা। 

নজরুল ইসলাম রনি বলেন, আগামীকাল ১ মে আমাদের কর্মসূচি চলবে। কমিটি গঠনের আশ্বাসে বিশ্বাস নেই আমাদের। 

বৈঠকে বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাশার হাওলাদার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. কাওছার আলী শেখ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনিসহ ২৫ জনের বেশি শিক্ষক নেতা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) পাঁচটি শিক্ষক সংগঠনের নেতাকে টেলিফোন করে প্রতিটি সংগঠন থেকে পাঁচ জনকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়া ফেসবুকভিত্তিক কোনও সংগঠনের কাউকে বলা না হলেও কয়েকজনকে সভাকক্ষের বাইরে দেখা গেছে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024769306182861