‘অতিরিক্ত ভর্তি ফি নেওয়া’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ। গত সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কাছে ওই তালিকা জমা দিয়েছে সংগঠনটি।
তালিকায় ৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাব সন্তোষজনক না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, অতিরিক্ত ভর্তি ফি নেওয়া-সম্পর্কিত অভিযোগ জানতে নগরের পাঁচটি এলাকায় পাঁচটি অভিযোগ বাক্স বসায় ছাত্রলীগ।
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলেন, নগরের স্কুলগুলো সরকারি নীতিমালা অনুসরণ না করলে ছাত্রলীগের কাছে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। অভিযোগ বাক্সে পাওয়া অভিযোগ ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে পাওয়া অভিযোগগুলো ছাত্রলীগ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর ৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে। এই তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ মনে করে, অনিয়মে জড়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একবিন্দু ছাড় দেওয়া উচিত হবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছে, নগরের কাজেম আলী স্কুল ও রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমিতে ইমারত নির্মাণ করে দোকানপাট ভাড়া দিয়ে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। তাই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল এবং নগরের চিটাগাং গ্রামার স্কুল ও প্রেসিডেন্সি স্কুলের মতো ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে নজরদারি বাড়াতে হবে। শুধু তা নয়, অভিযুক্ত স্কুলগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বাতিল এবং যত্রতত্র কিন্ডারগার্টেন চালু করলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বিজ্ঞান কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। এগুলো জামায়াত মনোভাবাপন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অতিরিক্ত আদায় করা অর্থ তারা কী কাজে বিনিয়োগ করছে খতিয়ে দেখতে হবে।
নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম বলেন, ‘৬৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা তথ্যপ্রমাণসহ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে তালিকা দিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তার ওপর নির্ভর করছে ছাত্রলীগের পরবর্তী করণীয় কী হবে।