অধিদপ্তরগুলোর কাছে শূন্যপদের তথ্য চেয়েছে এনটিআরসিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য চেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে নয়, সরাসরি অধিদপ্তরগুলোর কাছে শূন্যপদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই করে শূন্য পদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরগুলোকে। সম্প্রতি এনটিআরসিএ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

অধিদপ্তরগুলোতে পাঠানো চিঠিতে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে যাচাই করে এনটিআরসিএতে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ তালিকার ভিত্তিতে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষ ভাগে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করা হবে বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে। শূন্যপদের তথ্য চেয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে নির্ধারিত ছক পাঠানো হয়েছে।

নির্ধারিত ছকে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানটি পৌর এলাকায় অবস্থিত নাকি, ইআইআইএন নম্বর, প্যাটার্ন অনুসারে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা, কর্মরত পুরুষ শিক্ষক ও মহিলা শিক্ষক সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের ধরন, পদের নাম, বিষয়, শূন্যপদের সংখ্যা, শূন্যপদটি এমপিও, ননএমপিও বা সৃষ্ট পদ হলে সে সংক্রান্ত তথ্য, শূন্য পদটি মহিলা কোটাভুক্ত পদ কিনা সে বিষয়ের তথ্যও চাওয়া হয়েছে ছকে। 

অধিদপ্তরের অধিক্ষেত্রের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য নির্ধারিত ছক অনুসারে আগাম ২ মাসের মধ্যে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিদপ্তরগুলো থেকে যাচাই বাছাই করে শূন্যপদের তথ্য পাঠাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গতবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্য পদের তথ্য চেয়েছিল এনটিআরসিএ। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তথ্য প্রেরণ তদারকি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শত শত প্রতিষ্ঠান ভুল তথ্য পাঠানোয় নিয়োগ সুপারিশের পর ভোগান্তিতে পরেন প্রার্থীরা। এ জটিলতা রোধে এ বছর অধিদপ্তরগুলোর কাছে শূন্য পদের তথ্য চেয়েছে এনটিআরসিএ। গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিটি অধিদপ্তর তার অধিক্ষেত্রের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে যাচাই করে এনটিআরসিএতে পাঠাবে।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের - dainik shiksha দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন - dainik shiksha নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর - dainik shiksha জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক - dainik shiksha নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029110908508301