ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় মানি লন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি ফারুক হোসেন। গতকাল মামলার প্রধান আসামি সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্তে এসে মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে তিনি সোনাগাজী কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে থাকা সিরাজ-উদ-দৌলার হিসাব খতিয়ে দেখেন।
এদিকে, নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার তদন্ত সঠিক পথেই আছে বলে মন্তব্য করে হাই কোর্ট বলেছে, তারা এ মামলায় এখনই কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চান না। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নুসরাত হত্যা মামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে।
আদালত বলে, ‘আমরা তো এ হত্যা মামলার তদন্তে সরকারের অবহেলা দেখছি না। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এ মামলার মনিটরিং করছেন। সেই সঙ্গে পিবিআইর (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তও সঠিকভাবে হচ্ছে। কাজেই এ অবস্থায় তাদের কাজে কোনো ব্যাঘাত যেন না ঘটে তাই হস্তক্ষেপ করতে চাই না।’
রিট আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ২০ এপ্রিল রিট আবেদনটি হাই কোর্টের কার্যতালিকায় থাকলেও ওইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। এদিকে নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে ফেনী, ফরিদপুর ও বরিশালে সমাবেশ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধন : ফেনীতে নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সকালে কালিদহ এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে খুনি সিরাজ-উদ-দৌলাসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এম এ হান্নান, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। বক্তারা ঘটনার নেপথ্যে থাকা সিরাজ-উদ-দৌলাসহ জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।