রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে পুকুরে ফেলার ঘটনার মামলায় এই পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রোববার ৫ জনসহ এবং আজ আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজশাহী মহানগর পলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, মামলায় উল্লেখিত নামের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আটক ২৫
অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
রাজশাহী পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের ‘টর্চার সেল’
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অজ্ঞাতনামা আসামি। তবে মামলায় উল্লেখিত নামের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, আসাম কলোনী এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মেহদী হাসান আশিক (২২), একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মেহদী হাসান হিরা (২৩), নগরীর সাধুর মোড় এলাকার নোমানের ছেলে নবীউল উৎস (২০)ও নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার খন্দকার আলমগীরের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৩)। এছাড়া, গতকাল গ্রেফতার হয়েছে শাফি শাহরিয়ার (২৩), সোহেল রানা (২২), বাধন রায় (২০), আরিফুল ইসলাম (২৩) ও মেহদী হাসান রাব্বি। তারা সবাই রাজশাহী পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ইনস্টিটিউটের অধ্যয়নরত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করেছেন শিক্ষকরা।