রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন আহম্মেদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ বেলপুকুর এবং সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও চন্দ্রিমা থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার পাঁচজন অধ্যক্ষের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাটোর গুরুদাসপুরের চঁচকোড় বাজার এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন সৌরভ (২৪)। তিনি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ বাজার এলাকার শামিমুল ইসলামের ছেলে ও ছাত্রলীগ নেতা সালমান টনি (২২)। নগরীর ভদ্রা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রায়হানুল ইসলাম হাসিব (২১)। চারঘাটের ইউসুফপুর এলাকার মাহাতাব আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন (১৯)। তিনি ইলেকট্রনিকস বিভাগের ছাত্র। পাবনার দাপুনিয়া এলাকার রইচ শেখের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ শান্ত (২২)। তিনি পাওয়ার টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র।
রাজশাহী মহানগর পলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘটনার পরে আসামিরা পালিয়েছিল। তাদের রাজশাহীর জেলার বাইরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে হয়েছে। এছাড়া বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ইনস্টিটিউটের মসজিদ থেকে যোহরের নামাজ শেষ করে অফিসে ফিরছিলেন অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকদিন অভিযান চালিয়ে অজ্ঞাতনামা ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।