ময়মনসিংহের রয়েল মিডিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্নেহাশীষ চন্দ্র দে'র নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষিতে স্নাতক থাকায় অনিয়মের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য দিয়ে কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যক্ষ স্নেহাশীষ। যদিও এই নিয়োগে উল্লেখ্য ছিল অর্থনীতি/গণিত/পদার্থ বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স থাকতে হবে। পরে ২০০৬ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর শিক্ষার্বোডসহ বিভিন্ন দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ দুধরনের সিল ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেই অধ্যক্ষ বনে যান।
পরে ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর প্রয়াত নির্বাহী কমিটির সভাপতি মরহুম এড. আবু ইছহাক বিষয়টি অনুধাবন করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় অধ্যক্ষ নিয়োগের সার্কুলার প্রদান করেন এবং তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সিল ব্যবহারের নির্দেশ দেন। তাতে ও থেমে থাকেনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্নেহাশীষের অনিয়ম। শুধু তাই নয় যদিও নিজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কিন্ত বেতন ভাগা-ভাগিতে অধ্যক্ষের টাকাও তার পকেটে যায়।
ওই কলেজে কোন ধরনের অভ্যন্তরীণ অডিট কার্যক্রম পরিচালনা না করে নিজের ইচ্ছামত হিসাব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। শুরু থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন রেজুলেশন ও কাগজপত্র বিনষ্ট করে অনবরত শিক্ষক-কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে তিনি কলেজে আসতে পারছেন না। তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষকরা। এবিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন কলেজের শিক্ষকরা।
এসময় সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন, কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মু. ইমরুল হাসান, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক অরূপ কুমার সরকার, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক নাহিদ রায়হানা, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শিপার রায় প্রমুখ।